সেই রাজাকার মীর কাশেমকে হরিরামপুরে অবাঞ্ছিত করা হচ্ছে
মানিকগঞ্জ, ২৭ মার্চ, নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ ‘৭১-এর রাজাকার খুনী মীর কাশেম আলীর মুখােশ উন্মােচন করে দেয়ায় হরিরামপুরবাসী জনকণ্ঠকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।মানিকগঞ্জের হরিরামপুর থানায় এই খুনীর আদি নিবাস হলেও এলাকার লােকজন তার স্বাধীনতাবিরােধী ভূমিকার কথা জানত না। তাদের ধারণাই ছিল না ঐ সুন্দর মুখের আড়ালে এ রকম একজন খুনী লুকিয়ে থাকতে পারে। ‘৭১ সালে এই খুনী ছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং সেটিই ছিল তার কুকীর্তির স্থল। ফলে এলাকায় তার চরিত্র ছিল ফুলের মতাে পবিত্র । নিজেও খুব সতর্কতার সঙ্গে অতীত ইতিহাস গােপন রেখেছে। এলাকার মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সাহায্য-অনুদান এনে দিয়ে উল্টো মানুষের সহানুভূতি অর্জন করে। কিন্তু জনকণ্ঠে ঐ নিষ্কলুষ পরহেজগার চেহারার আড়ালে কুৎসিত চেহারাটি প্রকাশ হওয়ায় বিস্ময়, ভয়ে, ঘৃণায় আঁৎকে উঠেছে হরিরামপুরের জনগণ। জেলা সদর থেকে হরিরামপুর থানার যােগাযােগ ব্যবস্থা দুর্গম হলেও অনেকে মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবে টেলিফোনে কথা বলেছে। ধন্যবান দিয়েছে জনকণ্ঠকে। হরিরামপুর নূরুল ইসলাম কলেজের অধ্যক্ষ টেলিফোনে আলাপকালে বলেন, মীর কাশেম আলী সম্পর্কে উড়াে উড়াে জানতাম, কিন্তু জনকণ্ঠের মাধ্যমেই ঐ ঘাতকের স্বরূপটি ঠিকমতাে জানতে পারলাম। তিনি জানান, এলাকার শিক্ষিত ব্যক্তি, ছাত্র, দেশপ্রেমিক ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লােকজনের সঙ্গে মীর কাশেম আলী সম্পর্কে তাঁর আলাপ হয়েছে। তারা সবাই একমত হয়েছেন, ঘােষণা দিয়ে ঐ রাজাকারকে হরিরামপুরে অবাঞ্ছিত করা হবে। খুব শীঘ্রই ঐ কর্মসূচী নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
জনকণ্ঠ ॥ ২৮-০৩-২০০১
সূত্র : সেই রাজাকার – জনকন্ঠে প্রকাশিত রিপোর্টের সংকলন