সেই রাজাকার আদম শফিউল্লা শীর্ষক খবরটি এখন টক অব কুমিল্লা
কুমিল্লা, ৩০ জানুয়ারি, সংবাদদাতা ॥ অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, গত ৫ দিন ধরে। দৈনিক জনকণ্ঠে প্রকাশিত ‘সেই রাজাকার আদম শফিউল্লা’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি ‘টক। অব কুমিল্লায় পরিণত হয়েছে। জেলা সদর, প্রতিটি উপজেলার বিভিন্ন অফিসআদালতে, আডডায়, চায়ের দোকানে, পাড়ায় পাড়ায় শুধু শফিউল্লা ওরফে মুহাম্মদ জাকারিয়াকে নিয়ে আলােচনা, বিতর্ক। ‘৭১-এ জাকারিয়ার নৃশংসতা, বর্বরতা এবং স্বধীনতা লাভের পর তার আত্মরক্ষা, আওয়ামী লীগের এক নেতার হাত ধরে পার পেয়ে। যাওয়াসহ সবই আলােচনা হচ্ছে সর্বত্র। কোন কোন মুক্তিযােদ্ধা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছেন, ‘আজ মুক্তিযােদ্ধারা ভূমিইনি অথচ ঐ রাজাকার সরকারী জমি লিজ নিয়ে ব্যবসা বাণিজ্য চালাচ্ছে। তার বাড়িতে এতিমখানার নামে বিভিন্ন ব্যবসার লাইসেন্স নিয়েছে। অনেকে বলছেন, লিখে কি হবে, তলে তলে সবাই তার সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মুক্তিযােদ্ধা বলেন, আওয়ামী স্বেচ্ছা সেবক লীগের জেলা প্রধান মরহুম আবুল কালাম মজুমদার ঐ কুখ্যাত রাজাকারকে বাঁচিয়ে দিয়েছে।
আজ সেই রাজাকার কোটি কোটি টাকার মালিক জাকারিয়াকে নিয়ে বেশি আলােচনা চলে লাকসাম ও কুমিল্লা শহরে। লাকসামের হাটবাজারে, চায়ের দোকানে, রাস্তার মােড়ে, অফিস-আদালতে, দোকানে দোকানে শুধু সেই রাজাকার জাকারিয়াকে নিয়েই আলােচনা। উৎসাহী ব্যক্তিরা ফটোকপি করে প্রতিবেদনটি বিলি করছেন। পাশাপাশি | জনকণ্ঠে প্রকাশিত গত দু’দিনের রিপাের্ট ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। এদিকে, বাংলাদেশ মুক্তিযােদ্ধা সংসদ, কুমিল্লা জেলা শাখা শনিবার আদম শফিউল্লাসহ | স্বাধীনতাবিরােধীদের বিচার ও শাস্তির দাবিতে আয়ােজিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে অংশ নেয়ার জন্য মুক্তিযােদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী এবং প্রগতিশীল সংগঠন ও ব্যক্তিদের আহ্বান জানিয়েছে।
জনকণ্ঠ ॥ ৩১-০১-২০০১
সূত্র : সেই রাজাকার – জনকন্ঠে প্রকাশিত রিপোর্টের সংকলন