২২ নভেম্বর ১৯৭১ঃ কুমিল্লা ফ্রন্ট
কসবা চন্দ্রপুর ফ্রন্ট
পাকিস্তানী ভাষ্য
ভারতীয় বাহিনী কসবার চান্দ্রেরপুরে (চন্দ্রপুর) হামলা চালালে তাদের প্রতিরোধ করা হয়। এখানে সাতজন অফিসার সহ ২২০ জন ভারতীয় সৈন্য নিহত হয়। হামলাকারী দলটি ভারতের ৩১১ ব্রিগেডের ১৯ পাঞ্জাব রেজিমেন্ট।
ভারতীয় ভাষ্য
ভারতীয় ৭৩ ব্রিগেড কম্যান্ডার তুলি ক্যাপ্টেন আইনুদ্দিনকে এই অংশে পাক অবস্থানের উপর হামলা করার পরিকল্পনা জানান। আইনুদ্দিন এই অংশে তার পরিকল্পনা মোতাবেক হামলায় যেতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন। পরে সম সৈন্য বিন্যাসে তিনি আক্রমনে যেতে রাজি হন। কসবা থেকে ৩ মাইল উত্তরে সীমান্তের কাছেই চন্দ্রপুর পাক ঘাঁটিতে যৌথ বাহিনী আক্রমণ পরিচালনা করে। এই যুদ্ধে যৌথ বাহিনীর ক্ষতি হয় বেশি। ভারতীয় বাহিনীর কোম্পানি কম্যান্ডার ১৯ পাঞ্জাবের জিএস গ্রেওাল সহ ১০ জন ভারতীয় সেনা এবং ২০ জনের মত মুক্তিযোদ্ধা নিহত হন। আহতদের উদ্ধারে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল সেখানে গেলে পাক বাহিনীর আক্রমনে আরও কয়েকজন নিহত হয়। পাকবাহিনী কিছু মৃতদেহ আখাউরা নিয়ে গিয়ে প্রদর্শন করেন। মুক্তিবাহিনীর প্রথম ওয়ার কোর্সের লে. খন্দকার আবদুল আজিজ এই যুদ্ধে শহীদ হন।এ যুদ্ধে সালেক নামে এক কিশোরের বীরত্ব প্রদর্শনে অনেক মুক্তিযোদ্ধার প্রান রক্ষা হয়। কিশোর সালেক পরে বীর প্রতীক খেতাব অর্জন করেন।
মার্কিন গণমাধ্যম এপি সালদা নদী ফ্রন্টে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি বড় অপারেশনের আগে তাদের একটি ডামী হামলার চিত্রায়ন করে তা বিশ্বব্যাপী প্রচার করা হয়। সালদা নদী এর আগেও একাধিকবার দখলে আসলেও তা কয়েকবার হাতবদল হয়।