ব্যক্তিগত ব্যাপার নিয়ে আলোচনা করতে চাইনা, তবে যদি তদন্ত করা যায় তবে দেখা যাবে, মাসের মধ্যে কতবার এড়া পিণ্ডি করাচী যাওয়া আসা করে আর পারমিটের ব্যবসা বেনামিভাবে করে থাকে। এদের জাতই হল সুবিধাবাদী। এর পুর্বে মওলানা ভাসানী সাহেবও ৬ দফার বিরুদ্ধে বলেছেন, কারণ দুই পাকিস্তান নাকি আলাদা হয়ে যাবে।
মওলানা সাহেবকে আমি জানি, কারণ তিনিই আমার কাছে অনেকবার অনেক প্রস্তাব করেছেন। এমন কি ন্যাপ দলে যোগদান করেও। সেসব আমি বলতে চাইনা। তবে ‘সংবাদে’র সম্পাদক জহুর হোসেন চৌধুরী সাহেব জানেন। এসব কথা বলতে জহুর ভাই তাকে নিষেধও করেছিলেন। মওলানা সাহেব পশ্চিম পাকিস্তানে যেয়ে এক কথা বলেন, আর পূর্ব বাংলায় এসে অন্য কথা বলেন। যে লোকের যে মতলব সেই লোকের কাছে সেই ভাবেই কথা বলেন। আমার চেয়ে কেউ তাকে বেশি জানেনা। তবে রাজনীতি করতে হলে নীতি থাকতে হয়। সত্য কথা বলার সাহস থাকতে হয়। বুকে আর মুখে আলাদা না হওয়াই উচিৎ।
– কারাগারের রোজনামচা, শেখ মুজিবুর রহমান