You dont have javascript enabled! Please enable it!

মাগুরা শালিখার সাত মুক্তিযোেদ্ধা হত্যাকারী বক্কার ও তার পুত্ররা এখন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী।

সঞ্জয় রায় চৌধুরী, মাগুরা থেকে ॥ মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার হাজরাহাটি গ্রামের কুখ্যাত রাজাকার ও পাকি বাহিনীর দোসর আঃ বক্কার এখন সমাজকর্মী ও গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তি। ‘৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ৭ জন বীর মুক্তিযােদ্ধাকে নৃশংসভাবে হত্যার অভিযােগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। মুক্তিযুদ্ধের সময় আঃ বক্কার হাজরাহাটি এলাকায় এক রাজাকার বাহিনী গড়ে তােলে। এই বাহিনী লুটপাট ও নির্যাতন চালাতে থাকে বিভিন্ন এলাকায়। ‘ একাত্তরের এই রাজাকারদের নৃশংসতার প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা দিতে গিয়ে আমজাদ আলী। (শালিখা ইউপির প্রাক্তন চেয়ারম্যান) জানান, ভারত থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ৭ জন। মুক্তিযােদ্ধা ফরিদপুরে যাওয়ার সময় এই রাজাকার বাহিনী সকাল ৭/৮টার দিকে রায়জাদাপুর-জুনারী মােড় থেকে তাদের ধরে এনে এক দড়িতে বেঁধে চিত্রা নদীর বড়ঘাটে গুলি করে হত্যা করে।

রাজাকাররা চলে যাওয়ার পর গ্রামবাসী নিহত মুক্তিযােদ্ধাদের লাশ একত্র করে নদীর তীরে কবর দেয়। এদের সবার বাড়ি ছিল ফরিদপুর জেলায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ থেকে জানা গেছে, ঐ এলাকার বক্সীবাড়িতে রাজাকাররা ক্যাম্প গড়ে তােলে। আঃ বক্কার ও তার বাহিনী বিভিন্নস্থান থেকে লােকজনকে ধরে এনে এই ক্যাম্পে। অমানুষিক নির্যাতন চালাত। সাধারণ মানুষ তাদের ভয়ে পালিয়ে বেড়াত। এখনও আঃ বক্কার ও তার বাহিনীর অত্যাচারের কথা মনে করলে এলাকার মানুষ শিউরে । ওঠে। বর্তমানে আঃ বক্কার সমাজে একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত। জমিজমা রয়েছে অনেক। তার দুই ছেলে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী।

জনকণ্ঠ। ১০-০২-২০০১

সূত্র : সেই রাজাকার – জনকন্ঠে প্রকাশিত রিপোর্টের সংকলন

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!