২০ নভেম্বর ১৯৭১ঃ প্রবাসী সরকারের ঈদ
কলকাতায় ১৯ তারিখ ঈদ উদযাপন করা হয়। প্রবাসী সরকারের মন্ত্রী,কর্মকর্তা ও নেতৃবৃন্দের জন্য থিয়েটার রোডের সচিবালয় প্রাঙ্গনে ঈদের জামাতের ব্যবস্থা করা হয়।
তাজউদ্দীন আহমদের ঈদের বাণী
প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ ঈদের বাণীতে বলেন, ‘আমাদের দেশে এবার ঈদ এসেছে অত্যন্ত মর্মান্তিক পরিবেশে। ঈদের যে আনন্দ আজ আমরা হারিয়েছি, তা আমাদের জীবনে পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে সেদিনই যেদিন আমরা দেশকে শত্রুমুক্ত করব। যথাসর্বস্ব পণ করে যে স্বাধীনতা সংগ্রামে আমরা লিপ্ত, তার চূড়ান্ত সাফল্যের দিনটি নিকটতর হয়ে এসেছে। সেই মুহূর্তটিকে এগিয়ে আনার সংগ্রামে আমরা সকলে যেন নিঃস্বার্থভাবে নিজেদের নিয়োগ করতে পারি এই ঈদে তাই হোক আমাদের প্রার্থনা।’
সৈয়দ নজরুল ইসলাম এর ঈদের বানী
বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেশবাসীর প্রতি ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, সে দিন আর বেশি দূরে নয় যেদিন আমরা স্বাধীন বাংলাদেশে সবাই একসাথে ঈদ উদযা পন করবো। তিনি সম্ভবত ঈদে কলকাতার বাহিরে ছিলেন।
ভাসানী
দিল্লী ঈদগাহ ময়দানে অসুস্থ মওলানা ভাসানী ঈদের নামাজ আদায় করেন। তিনি দিল্লীতে সরকারী ব্যাবস্থাপনায় চিকিৎসাধীন আছেন। তিনি সেখানে এক জমায়েতে হিন্দু মুসলমান সকলকেই ঈদের শুভেচ্ছা জানান।