You dont have javascript enabled! Please enable it! 1972.01.30 | মুক্তিযুদ্ধ শুরু ১৯ মার্চ ১৯৭১ আর শেষ হয়েছিল ৩১ জানুয়ারি ১৯৭২ - সংগ্রামের নোটবুক

৩০ জানুয়ারী ১৯৭২ এর খবর
বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছিল ১৯ মার্চ ১৯৭১ আর শেষ হয়েছিল ৩১ জানুয়ারি ১৯৭২ । অর্থাৎ মোট ১০ মাস ২০ দিন স্থায়ী ছিল এই সশস্ত্র সংগ্রাম। ২৬ মার্চ’৭১ থেকে ১৬ ডিসেম্বর’৭১ মোট ৮ মাস ২২ দিনের যুদ্ধটি ছিল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত, যাকে পরবর্তীকালে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেয়া হয়। তথ্যটি অনেকেরই জানা। ১৯ মার্চ জয়দেবপুরে প্রথম সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু হয়। আর ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের পরও ঢাকার মিরপুরে চলছিল যুদ্ধ। মিরপুর নিয়ন্ত্রণ করছিল পাকিস্তানি বাহিনীর দোসর অবাঙ্গালি বিহারীরা এবং কিছু সংখ্যক রাজাকার আলবদর। প্রায় এক ব্রিগেড পাকিস্তানি সেনা তাদেরকে সাথে নিয়ে গড়ে তুলেছিল স্বাধীন বাংলাদেশের ভিতর এক পরাধীন বাংলা। এমনকি মিত্রবাহিনীও এ এলাকায় প্রবেশের সাহস করেনি। মুক্তিযোদ্ধারা একাধিকবার মিরপুরে প্রবেশ করতে চাইলেও মিত্রবাহিনী এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শত্রুশক্তি অনুমান করে তাদেরকে বিরত রাখে। ৩০ জানুয়ারি ১৯৭২ মিরপুর ম্ক্তু করার পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়। তার আগে অস্ত্র সমর্পণ করতে বলা হয়েছিল শত্রুদের কিন্তু উল্টো তারা মাইকে ঘোষণারত পুলিশ সদস্যকেই হত্যা করে। শত্রুর অতর্কিত হামলায় শহীদ হন সেনাবাহিনীর লে. সেলিম, পুলিশের এএসপি জিয়াউল হক খান লোদী এবং জহির রায়হান। শুরু হয় প্রচণ্ড যুদ্ধ।

৩১ জানুয়ারি ১৯৭২ । সেনাবহিনী, মিত্রবাহিনী এবং মুক্তিবাহিনীর আক্রমণে এক সময় পরাস্ত হয় শত্রু, মুক্ত হয় বাংলাদেশের শেষ পরাধীন ভূমি। স্বাধীন বাংলাদেশেও শতাধিক শহীদের আত্মবলিদানের মর্মান্তিক ইতিহাসের স্বাক্ষী মিরপুরবাসী। মিরপুর শত্রুমুক্ত হওয়ার পর একে একে বেরিয়ে আসতে থাকে রাজাকার-আলবদর-বিহারীদের পৈশাচিক বীভৎসতার স্বাক্ষী বধ্যভূমিগুলো। এ পর্যন্ত ১০ টি বধ্যভূমি সনাক্ত করা হয়েছে মিরপুরে । ১৯৯৯ সালে মিরপুরের মুসলিম বাজার বধ্যভূমি আবিষ্কারের পর জহির রায়হান, লে. সেলিমসহ আরো যারা ওই অপারেশনে শহীদ হয়েছিলেন তাদের হত্যারহস্য উদঘাটিত হয়। মুক্তিযুদ্ধের এরকম অনেক অনুদঘাটিত ইতিহাসের স্বাক্ষী মিরপুর। সমগ্র মিরপুর ছিল রাজাকার-আলবদর-বিহারীদের অভয়ারণ্য। অবাধে বাঙালি নির্যাতন আর হত্যার জন্য পুরো মিরপুর ছিল শত্রুর কাছে জল্লাদখানা। 

• (আহতের সংখ্যা ছিল অনেক এদের কাউকে কাউকে পোল্যান্ড জার্মানি পাঠানো হয়েছিল এদের কেউ কেউ সেখানে মারা যান মুক্তিযোদ্ধা রিয়াজ এমনি একজন ঢাকা ক্যান্ট সংলগ্ন মানিকদির স্থায়ী বাসিন্দা রিয়াজ পোল্যান্ডে চিকিৎসা রত অবস্থায় মারা যান তাকে বাজারে কবর খুড়ে দাফন করা হয় এখন সেখানে মাছ বাজার)