১৯ নভেম্বর ১৯৭১ঃ পূর্ব পাকিস্তানী নেতৃবৃন্দ
সবুর
কাইউম মুসলিম লীগের সাধারন সম্পাদক সবুর খান বলেন পূর্ব পাকিস্তানের জনগন আস্থাজনিত চরম সঙ্কটের মোকাবেলা করছে। ক্ষমতা হস্তান্তরের সময় প্রদেশকে তার অর্থপূর্ণ ও সত্যিকার অংশ প্রদানের মাধ্যমে এ সংকটের সমাধান করা যেতে পারে। তিনি ভূট্টোর সমালোচনা করে বলেন তিনি পূর্ব পাকিস্তানের শ্রদ্ধেয় নেতাদের বিরুদ্ধে দায়িত্বহীন ও বিদ্বেষ পূর্ণ উক্তি করায় তা পূর্ব পাকিস্তানীদের মর্মাহত করছে। এ সকল নেতার বিভাগ পূর্ব কায়েদে আজমের সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে পাকিস্তানের জন্য কাজ করেছিলেন তখন ভূট্টো ছিলেন কিশোর। একটি গতিশীল জাতির আত্ম প্রতিষ্ঠায় তিনি ছিলেন সম্পূর্ণ অজ্ঞ। যেহেতু পাকিস্তান প্রতিষ্ঠায় তার কোন জ্ঞান নেই তাই পাকিস্তান রক্ষায় তার কোন আগ্রহ নেই। সংকট যখন তীব্র হচ্ছে তখনি তিনি সংকট নতুন করে বৃদ্ধি করছেন।
অর্থমন্ত্রী আবুল কাশেম
প্রাদেশিক অর্থমন্ত্রী আবুল কাশেম ভারতকে চিরদিনের মত শিক্ষা দেয়ার জন্য ভারতের বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। এক ঈদ বানীতে তিনি বলেন কিছু সংখ্যক তরুন ভারতের মিথ্যা প্ররোচনায় প্রলুব্ধ হয়ে ভারতে চলে গিয়েছে এবং ওপারে মানবেতর জীবনযাপন করছে। এতে ঈদে যখন আমাদের আনন্দ করার কথা তখন দুঃখে আমাদের মন ভারাক্রান্ত হয়ে উঠছে। তিনি ভারতে অবস্থানকারীদের দ্রুত দেশে ফিরে আসার আহবান জানান। কাইউম
মুসলিম লীগের পূর্ব পাকিস্তান কমিটি
কাইউম মুসলিম লীগের পূর্ব পাকিস্তান কমিটি পুনর্গঠিত সভাপতি সাইদুর রহমান সাধারন সম্পাদক মাহতাব উদ্দিন।
ছাত্র সংঘ
ইসলামী ছাত্র সংঘ মোহাম্মদপুর শারীরিক শিক্ষা কলেজ মাঠে সমাবেশ করে সেখানে বক্তব্য দেন প্রাদেশিক সাধারন সম্পাদক আলী আহসান মুজাহিদ। সমাবেশ শেষে দেশের সুখ সমৃদ্ধি ঐক্য সং হতির জন্য মোনাজাত করা হয়।