এপ্রিল ১৯৭৪ঃ বিপর্যস্ত যুবলীগ, সেভেন মার্ডার, সেনা মোতায়েন
৩০/৩১ মার্চ ১৯৭৪ তারিখে বায়তুল মোকাররমে এক সমাবেশের মাধ্যমে ছাত্রলীগ কতিপয় যুবলীগের শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে আকার ইঙ্গিতে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ করে। নাম না প্রকাশ করলেও বিবরনের মাধ্যমে স্পষ্ট বুঝা যায় কাদের কথা বলা হয়েছে। দৈনিক আজাদ দুই কিস্তিতে তা প্রকাশ করে দেয়। মাস খানেক আগেও জাসদ দেশে ব্যাপক অরাজকতা শুরু করেছিল। তাদের কঠোর ভাবেই দমাতে পেরেছিলেন ক্যাপ্টেন মনসুর। এখন শুরু করেছে খোদ সরকারী অঙ্গ দল। এ সময় শেখ মুজিব চিকিৎসার জন্য মস্কো ছিলেন। ছাত্রলীগের চরিত্রটা ছিল অনেকটাই বিরোধী দলের মত। সভাপতি ছিলেন মনিরুল হক চৌধুরী সাধারন সম্পাদক ছিলেন শফিউল আলম প্রধান।
শাখা প্রশাখা গুলোও ছিল তাদের কট্টর সমর্থক। ৬/৭ তারিখে ঘটে সেভেন মার্ডার। দেশে ফিরে আর সময় নিলেন না শেখ মুজিব। পূর্ণ ক্ষমতা দিয়ে এদের নির্মূল করতে নামিয়ে দিলেন সকল বাহিনী। এ বাহিনী তালিকার কাউকে ধরেছে বলে মনে হয়নি। সে লিস্টে ছিল ৪ খলিফার দু খলিফা বাকী ২ খলিফা অন্য দলে থাকায় রেহাই পান। এদের একজন এখন বিশাল শিল্পপতি। সেনাবাহিনীর পর আসে জরুরী অবস্থা। জরুরী অবস্থাও যখন তেমন কাজে আসছিল না। তখন কায়েম করা হয় বাকশাল। কার্যত এপ্রিল থেকে রাজনীতিবিদদের ক্ষমতা খর্ব হয়ে যায়। ছাত্র ও যুব রাজনীতি স্থবির হয়ে যায়। যা পরে বাকশালের সময় আবার চাঙ্গা হয়।