জিয়া মওলানা ভাসানীকে শেখ মুজিবের চেয়ে বড় নেতা বানাতে চেয়েছিলেন
৭৭ সালে ভাসানীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয় ঘটা করে। এ উপলক্ষে পত্রিকায় বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হয়। ক্রোড়পত্রে সরকারী প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে ভাসানীকে উপরে উঠানোর প্রতিযোগিতা চালানো হয়। রেডিও টেলিভিশনে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করা হয়। এসকল লেখা বা আলোচনায় তাকে বাংলাদেশের প্রধান নেতা প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা নেয়া হয়। সরকারী নির্দেশ না হলেও অফিস, প্রতিষ্ঠানে ভাসানির ছবি টানানো হত। এক শ্রেণীর বুদ্ধিজীবী সাংবাদিকদের দিয়ে বিশেষ বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশ করা হয়। আকার ইঙ্গিতে সবাই বুঝাতেন মুজিব কেউ না ভাসানীই স্বাধীনতার মুল নেতা। ৭৮ সালে জিয়া যখন রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন তখন ভাসানী (ন্যাপ) এর প্রায় সকল নেতা তার দলে যোগ দেন। এর পর থেকেই জিয়ার ভাসানী তোষণ ক্রমেই কমতে থাকে। ১৯৮০ সনে পত্রিকা সমুহ ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকীকে একেবারে সাধারন পর্যায়ে নিয়ে আসে।