ঘটনাবহুল ‘৭৭-এর কয়েকটি দিন : সংবাদপত্রের পাতা থেকে
২৮ সেপ্টেম্বর ১৯৭৭: ছিনতাইকৃত জাপানি বিমানের ঢাকায় অবতরণ।
৩০ সেপ্টেম্বর : বগুড়ায় সেনাবাহিনীর মধ্যে গােযােগ। নিহত ১, আহত ৩ ও নিখোঁজ ২।
২ অক্টোবর : ঢাকায় সেনানিবাসে সৈন্যদের মধ্যে গুলিবিনিময়। ঢাকা বিমানবন্দরে কর্তব্যরত অবস্থায় বিমানবাহিনীর ১১ অফিসার ও সেনাবাহিনীর ১০ জন নিহত। সেনাবাহিনীর ৪০ জন আহত।
• শান্তিশৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের মােকাবেলা করতে দেশবাসীর প্রতি প্রেসিডেন্টের আহ্বান।
• সেনাবাহিনীর কিছু লােক বিদ্রোহ ব্যর্থ করে দেওয়ায় প্রেসিডেন্ট জিয়ার প্রতি মিসরীয় প্রেসিডেন্ট আনােয়ার সাদাতের অভিনন্দন।
৩ অক্টোবর : প্রেসিডেন্ট জিয়ার সভাপতিত্বে সেনা সদর দপ্তরে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক। জাতীয় স্বার্থ ও সশস্ত্র বাহিনীর বিরােধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত। • ঢাকার বিমানবন্দরে স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু।
৪ অক্টোবর : উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বগুড়া ও ঢাকার বিমান ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের হত্যায় শােক ও দুঃখ প্রকাশ।
৭ অক্টোবর : বগুড়া ও ঢাকায় সামরিক বাহিনীতে বিদ্রোহের জন্য সামরিক বাহিনীর সদস্যদের বিচারের লক্ষ্যে কয়েকটি মিলিটারি ট্রাইব্যুনাল গঠন। বিভিন্ন ট্রাইব্যুনালে অভিযুক্তদের বিচার শুরু।
৮ অক্টোবর : ব্রিগেডিয়ার মহব্বত জান চৌধুরী সামরিক গােয়েন্দা বিভাগের মহাপরিচালক নিযুক্ত।
১১ অক্টোবর : বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৬০ নেতার সঙ্গে বৈঠকে প্রেসিডেন্ট জিয়ার ঘােষণা, ‘রাজনীতির ভিত্তি হবে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ’।
১৪ অক্টোবর : ডেমােক্রেটিক লীগ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল নিষিদ্ধ।
১৮ অক্টোবর : বগুড়া ও ঢাকায় সেনা বিদ্রোহের ঘটনায় অভিযুক্ত ৪৬০ জনের বিচার সম্পন্ন । সেনা ও বিমানবাহিনীর ৩৭ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর, ২০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ৬৩ জন থালাস। অন্যদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড।
২৬ অক্টোবর : দুজন বিচারপতিকে নিয়ে বগুড়া ও ঢাকার ঘটনা সম্পর্কে তদন্ত কমিশন। • বগুড়ার ঘটনার বিচার সম্পন্ন : ৫৫ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১৪ জন খালাস।
৯ ডিসেম্বর : এয়ার ভাইস মার্শাল এ জি মাহমুদের স্থলে এয়ার কমােডর সদরুদ্দিন বিমানবাহিনী প্রধান হিসেবে নিযুক্ত।
১১ জানুয়ারি ১৯৭৮; ঢাকায় সামরিক ট্রাইব্যুনালে আটজনের মৃত্যুদণ্ড।