You dont have javascript enabled! Please enable it!

১৫ নভেম্বর ১৯৭১ঃ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি

মাইন বিস্ফোরণে দুই জার্মান কূটনীতিক নিহত
দুই জার্মান কূটনীতিক এক ব্যাক্তিগত সফরে সোনারগাঁও যাওয়ার পথে দুষ্কৃতিকারীদের পেতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন। এদের একজন হলেন ঢাকা কনস্যুলেট এর কমার্শিয়াল এটাচে রলফ ফেইলেনড (৫৮) এবং অফিসার এরিক উজাক (২০)। কমার্শিয়াল এটাচে রলফ ফেইলেনড ৮ মাস আগে এখানে যোগদান করেন। তার পরিবার জার্মানিতে থাকেন। উজাক ৩ মাস পূর্বে এখানে যোগদান করেছিলেন। তাদের লাশ জার্মানীতে পাঠানোর উদ্দেশে করাচী নেয়া হয়েছে।
দুই ডাক্তারের লাশ উদ্ধার
রমনা থানা পুলিশ নটরডেম কলেজের দক্ষিনে কালভার্ট সংলগ্ন নালা থেকে পিছনে হাত ও মুখ বাধা অবস্থায় দুইটি মৃতদেহ উদ্ধার করে। তাদের শরীরে একাধিক জখমের চিহ্ন ছিল। পুলিশ মৃতদেহগুলি ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যালে পাঠালে সেখানে ডাক্তারবৃন্দ লাশ দুটির পরিচয় পায়। তাদের একজন এই হাসপাতালের বহির্বিভাগের ডাক্তার আজহারুল হক (৩২) অপরজন এই মেডিক্যাল থেকে সদ্য পাশ করা ডাক্তার হুমাউন কবির। তারা উভয়ে ফ্রি স্কুল স্ট্রীটে একই ভবনে পাশাপাশি বাসায় বসবাস করতেন। সকালে ডাক্তার আজহারুলকে আনার জন্য হাসপাতাল থেকে এম্বুলেন্স (আনা নেয়ার কাজে) পাঠানো হলে তিনি এম্বুলেন্সএ আসেন নাই। এর পর হতে তাদের আর খোজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
সিএসপি ও ইপিএস অফিসারের মৃত্যৃ স্বীকার করেছে সরকার
পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে স্বীকার করা হয়, গত ২৫ মার্চের পর থেকে এ পর্যন্ত প্রদেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়োজিত চারজন সিএসপি ও একজন ইপিএস অফিসারের মৃত্যৃ হয়েছে। এদের মধ্যে কুষ্টিয়ার এসডিও নাসিম ওয়াকার বাট ৩১ মার্চ, চুয়াডাঙ্গার এসডিও মোহাম্মদ ইকবাল ১৫ এপ্রিল, নঁওগার এসডিও মোহাম্মদ নিবারুল হামিদ ১৬ এপ্রিল, সিরাজগঞ্জের এসডিও এ.কে শামসুদ্দিন ২০মে এবং যশোরের সাব-জজ মোজাফফর হোসেন (ইপিসিএস) ৩ সেপ্টেম্বর নিহত হন। এদের প্রথম তিন জন পশ্চিম পাকিস্তানী।
নোটঃ আরও ২০-২৫ জনের বিষয়ে এ নোট এ কিছু বলা হয়নি।
অন্যান্য
শীতলক্ষ্যা নদীতে পিআরএস কোম্পানির ভাসমান ডকে ৩টি বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। ওতে হতাহত না হলেও ডকের ক্ষতি হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রে বোমা বিস্ফোরণে কেন্দ্রের আংশিক ক্ষতি হয়। চট্টগ্রামে তিনজন ভারতীয় চরকে আটক করা হয়েছে।

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!