You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.10.04 | অভ্যর্থনা শিবিরে ৫ পরিবারের ৩১ সদস্যের একটি দলের উপস্থিত  - সংগ্রামের নোটবুক

অভ্যর্থনা শিবিরে ৫ পরিবারের ৩১ সদস্যের একটি দলের উপস্থিত 

স্টাফ রিপাের্টার গত মঙ্গলবার কুমিল্লা ঈশ্বর পাঠাগার অভ্যর্থনা শিবিরে পাঁচটি পরিবার উপস্থিত হয়। এদের মধ্যে ছােটবড় ৩১ ব্যক্তি ছিল। তারা অভ্যর্থনা শিবিরে উপস্থিত হইলে ডেপুটি কমিশনার জনাব নুরুন্নবী চৌধুরী। শিবিরে উপস্থিত হইয়া প্রত্যাবর্তনকারীদের খোঁজখবর নেন এবং সঙ্গে সঙ্গে তাদের প্রয়ােজনীয় সকল ব্যবস্থাদি তদারক করেন। ডেপুটি কমিশনারের সাথে আলাপকালে প্রত্যাবর্তনকারীরা বলে যে, ভারতীয় বাহিনীর ভয়ে তারা এক দুর্গম এলাকার মধ্য দিয়া কটকবাজার উপস্থিত হইলে পাকসেনাবাহিনী বিশেষ যত্নের সঙ্গে তাহাদিগকে এই অভ্যর্থনা শিবিরে নিয়া আসে। গত মঙ্গলবার প্রত্যাবর্তনকারীদিগকে তাদের প্রয়ােজনীয় খাদ্য সামগ্রী ও আর্থিক সাহায্যসহ নিজ নিজ গৃহে প্রেরণ করা হয়।

আমোদ ॥ ৩০ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ খাদ্যের ব্যবস্থা হলে মুক্তাঞ্চলে উদ্বাস্তুদের ফিরিয়ে নেওয়া যায়। বােম্বাই, ২৪শে সেপ্টেম্বর :-ভারত সরকার যদি মাত্র তিন চার মাসের জন্য বাংলাদেশের মুক্তাঞ্চলে খাদ্য সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দেন তাহলে ভারত থেকে উদ্বাস্তু ফিরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করা যেতে পারে এবং এখনই অন্তত ১৫ হাজার উদ্বাস্তুকে ফিরিয়ে নেওয়া যায় বলে ভারতবষ্য বাংলাদেশ প্রতিনিধিবৃন্দ ভারত সরকারকে যে প্রস্তাব দিয়েছেন আজ এখানে এক সাংবাদিক সম্মেলনে শেখ মুজিবর রহমানের অনুজ শেখ আবু নাসের তা প্রকাশ করেন। শেখ নাসের বলেন, খাদ্যই বাংলাদেশের বর্তমানে প্রধান সমস্যা তবে, সমগ্র মুক্তাঞ্চল জুড়ে। ব্যাপক চাষাবাদ হচ্ছে এবং তিন চার মাসের মধ্যেই নতুন ফসল উঠবে তখন কোন সমস্যা থাকবে না। শেখ নাসের আরও বলেন মুক্তাঞ্চলে ইতিমধ্যে কোট কাছারী ও স্কুল কলেজ বসান হয়েছে এবং আশা করা যায় তিন চার মাসের মধ্যেই পরিস্থিতির সামগ্রিক উন্নতি হবে।  মাত্র দুদিন আগেও শেখ নাসের বাংলাদেশে ছিলেন এবং স্বল্পকাল সফরের জন্য তিনি বােম্বাইতে এসেছেন। তাঁর সঙ্গে এসেছেন ১৫ সদস্য বিশিষ্ট এক সাংস্কৃতিক প্রতিনিধি দল।

বাংলাদেশ (১) ৪ ১: ১৫ ॥ ৪ অক্টোবর ১৯৭১

সূত্র : গণমাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ – খন্ড – ০৪