১৪ নভেম্বর ১৯৭১ঃ পশ্চিম পাকিস্তানী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ
মিয়া মমতাজ দওলতানা
করাচীতে দলীয় এক কর্মীসভায় কাউন্সিল মুসলিম লীগ প্রধান মিয়া মমতাজ দওলতানা পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নুরুল আমীনের দাবীকে সমর্থন করেছেন। তিনি বলেন পূর্ব পাকিস্তানের জনগনের মধ্যে হতাশা,ক্ষোভ দূর করা এবং দেশের সংহতি জোরদার করার জন্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী একজন পূর্ব পাকিস্তানী হওয়া উচিত। শাসনতন্ত্রে এমন বিধান অবশ্য নেই তবে এরূপ দাবী অমুলক হবে না। তবে পিপিপি যদি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে সেক্ষেত্রে তারাই প্রধানমন্ত্রীর দাবিদার সে ক্ষেত্রে তিনিও তা সমর্থন করবেন। তিনি বলেন শেখ মুজিবের বিচ্ছিন্নতা কার্যক্রম শুরুর আগেই জুলফিকার আলী ভুট্টো পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করার প্রচেষ্টা নিয়েছিলেন শুধু ক্ষমতা পাবার আশায়। জুলফিকার আলী ভুট্টো দেশ বিভাগ আন্দোলল যুক্ত ছিলেন না। গনতন্ত্রের আন্দলনে যুক্ত ছিলেন না বরং গনতন্ত্র ধংশ করার প্রয়াসে আইউব সরকারে তিনি মৌলিক গনতন্ত্র মন্ত্রী হয়েছিলেন। জুলফিকার আলী ভুট্টো আইউবকে একনায়ক তন্ত্রে স্থায়ী করার জন্য জেলার ডিসি এসপিকে জেলার সংগঠনের প্রধান করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তিনি বলেন ভারতের সাথে যুদ্ধের জন্য আনুষ্ঠানিক কোন ঘোষণার প্রয়োজন নেই কারন ভারত ইতিমধ্যে পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। তিনি বলেন ভারতের সম্প্রসারন বাদী পরিকল্পনার সমুচিত জবাব দান করা প্রতিটি দেশপ্রেমিক নাগরিকের কর্তব্য।
রাজাকার বাহিনী প্রসঙ্গে শেরপাও
সরদহ পিপিপি চেয়ারম্যান হায়াত মোহাম্মদ খান শেরপাও পেশোয়ারে বলেন জামাত রাজাকার আলশামস আল বদর বাহিনী তৈরি করে প্রতিপক্ষদের দমন করছে। তিনি বলেন ৬৫ সালের যুদ্ধের সময় এসকল বাহিনী কোথায় ছিল। তিনি বলেন জামাতের ভাড়া করা গুণ্ডারাই ভুত্ত এর উপর হামলা করেছে।