১৩ নভেম্বর, ১৯৭১ঃ যুদ্ধ পরিস্থিতি
ভুরঙ্গামারী হানাদার মুক্ত
ভারতীয় বাহিনীর সহায়তায় মুক্তিবাহিনী ভুরঙ্গামারী সম্পূর্ণরূপে হানাদার মুক্ত করে। এই যুদ্ধে বহু পাকসৈন্য নিহত হয় এবং ৩ জনকে বন্দী করা হয় বিপুল অস্র ও গোলাবারুদ আটক করা হয়। পাক বাহিনীর এই ক্যাম্প থেকে বেশ কয়েকজন উচ্চ শিক্ষিত বীরাঙ্গনা উদ্ধার করা হয়।
কুষ্টিয়া
পাকিস্তান সীমান্ত রক্ষী বাহিনী এপকাফ নভেম্বরের শুরুতে বিওপি ছেড়ে ভিতরে অবস্থান নেয়ার সুযোগে ভারতের ২টি ব্যাটেলিয়ন পূর্ব পাকিস্তানের যশোর এবং অপর ব্যাটেলিয়নের একটি প্লাটুন কুষ্টিয়ার ধর্মদহে ৩-৪ কিমি ভিতরে অবস্থান নেয়। প্রায় এক সপ্তাহ পর পাকিস্তান সেনাবাহিনী টহল দিতে গিয়ে তারা প্রদেশের অনেক ভিতরে ভারতীয় সৈন্য দেখতে পায়। পরে পাকিস্তানী বাহিনী তাদের উপর আক্রমন করে তাদের সীমান্তের ওপারে নিতে সক্ষম হয়। এখানে ২৪ জন ভারতীয় সৈন্য নিহত হয়। ১ নাগা ব্যাটেলিয়ন এর ৬ জন সৈন্য ও প্রচুর ভারতীয় অস্র আটক হয়। বিদেশী সাংবাদিকদের এখানে এনে ভারতীয় সৈন্যদের ও আটক অস্র দেখানো হয়।
সালদা নদী বিওপি দখল
৪ ইবি এর সি কোম্পানির সুবেদার আম্বিয়া, নায়েব সুবেদার হোসেন, নায়েব সুবেদার মঙ্গল মিয়ার সব কয়টি প্লাটুন কয়েক ঘণ্টার যুদ্ধে সালদা নদী বিওপি দখল করে। ক্যাপ্টেন আজিজ পাশা মুজিব ব্যাটারির সাহায্যে আর্টিলারি সাপোর্ট দেন। মুক্তি বাহিনী এ প্রথম নিজস্ব আর্টিলারি ব্যাবহার করে। সেঃ লেঃ জামিল এই যুদ্ধে বীরত্ব প্রদর্শন করেন।
পাকিস্তানী ভাষ্য বলা হয় ভারতীয় বাহিনীর সমর্থনে চরেরা কসবার কায়েমপুরে এক ব্যাটেলিয়ন শক্তিতে হামলা চালায়। পাকিস্তান বাহিনীর পাল্টা হামলায় ৩৫ জন চর নিহত হয়।
বরাবরের মত পাক বাহিনী বর্ণিত ১৮ গ্রামে ভারতীয় গোলাবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। তবে আগের তালিকার কিছু গ্রাম বাদ গিয়ে নতুন এলাকা যুক্ত হয়েছে।