You dont have javascript enabled! Please enable it!

১৩ নভেম্বর ১৯৭১ঃ পশ্চিম পাকিস্তানী নেতা ও কর্মকর্তা

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব সুলতান মোহম্মদ খান

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব সুলতান মোহম্মদ খান জাতিসংঘে বলেন পাকিস্তান ভারতের মধ্যে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে। তিনি জাতিসংঘের সাধারন পরিষদে পাকিস্তান প্রতিনিধিদলের সাথে সাক্ষাৎ করতে সেখানে যান এবং সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন ভারত প্রতিদিন সীমান্তে অজস্র ভারী গোলাবর্ষণ করে যাচ্ছে। দুই একটি ক্ষেত্রে ট্যাঙ্ক ব্যাবহার করছে। পাকিস্তান বিষয়টি জাতিসংঘে তোলার প্রচেষ্টা নিতেছে। সুলতান কিছুদিন আগে ভুট্টো এর সাথে চীন সফর করে এসেছেন। চীনের উদাহরন দিয়ে খান বলেন পাকিস্তান আক্রান্ত হলে চীন পাকিস্তানকে রক্ষা করবে। পরে তিনি মস্কো সফর করেছেন। মস্কো সফর প্রসঙ্গে তিনি বলেন আমরা মস্কোর ব্যাখ্যায় খুশী নই। তিনি এই সফরের পরে কানাডা এবং পশ্চিম জার্মানি সফর করবেন। তিনি বলেন ভারতের সহযোগিতা ছাড়া শরণার্থী প্রত্যাবর্তন সম্ভব নহে।

মাস্টার খান গুল
বেআইনী ঘোষিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট মাস্টার খান গুল করাচীতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন ভুট্টো এবং কাইউম খানের ষড়যন্ত্রে গনতন্ত্র বিপন্ন হচ্ছে। ভুট্টো, কাইউম খান এবং ইসলাম পছন্দ দলগুলি দেশে প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির দুর্ভেদ্য দুর্গ এবং তারাই পাকিস্তানে একনায়কতন্ত্র চিরস্থায়ী করার ষড়যন্ত্রের সক্রিয় অংশীদার। এই সকল দল বা ব্যাক্তির গনতন্ত্রের প্রতি যদি শ্রদ্ধা থাকত তা হলে বিগত নির্বাচনের রায় অবশ্য মেনে নিতেন। তিনি বলেন জনগনের সার্বভৌমত্ব স্বীকার করে নেয়া এবং বিগত নির্বাচনের ফলাফলের ভিত্তিতে দেশে গনতান্ত্রিক পদ্ধতি পুনঃ প্রবর্তন করাই দেশকে রক্ষার একমাত্র উপায়।

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চল কোর এর সভা
যুদ্ধবস্থার প্রেক্ষিতে জেনারেল নিয়াজি এই দিন উচ্চপর্যায়ে সভা ডাকেন। সভায় সকল জিওসি ও ব্রিগেড অধিনায়ক গন উপস্থিত ছিলেন। এই কম্যান্ডে ভারতের তুলনায় সৈন্য সংখ্যা অপ্রতুল বিবেচনায় আরও সৈন্য এর জন্য জিএইচকিউ তে প্রতিনিধি প্রেরনের সিদ্ধান্ত হয়। এ সভায় ফেনীতে বিলোনিয়ায় শক্ত আক্রমন করে ওপারের ভারতীয় বিলোনিয়া দখলের প্রস্তাব করেন নিয়াজি। অন্যান্য কম্যান্ড তার প্রস্তাবের বিরোধিতা করায় তা বাতিল হয়।

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!