You dont have javascript enabled! Please enable it!
৮৮ আওয়ামী লীগ সাংসদকে দায়মুক্ত করেন ইয়াহিয়া
১৭ আগস্ট, ১৯৭১
ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল স্টাফ প্রণীত এক সার-সংক্ষেপে বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়ায় একটি নতুন যুদ্ধের বিপদ এখনাে প্রকৃতই রয়ে গেছে। যদি সত্যিই পূর্বপশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে সমঝােতা সৃষ্টি এবং সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরের মধ্যে ভারত থেকে বাঙালি উদ্বাস্তু প্রত্যাবাসনে অগ্রগতি না ঘটে তাহলে বৈরিতার সম্ভাবনা আরাে বৃদ্ধি পাবে। সম্ভাব্য যেসব পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটতে পারে তা হলাে ক, ভারতীয় সামরিক বাহিনী আক্রমণ চালিয়ে পূর্ব পাকিস্তানের ন্যূনতম ভূখণ্ড দখল করে নেবে। উপরন্তু বড়জোর পশ্চিম পাকিস্তানি সৈন্যদের বিতাড়িতও করতে পারে। খ, ভারত মুক্তিযােদ্ধাদের সমর্থন দানের প্রক্রিয়ায় অধিকতর প্রত্যক্ষ সমর্থন নিশ্চিত করতে পারে। এক্ষেত্রে তাদের লক্ষ্য থাকবে পূর্ব পাকিস্তানের একটি এলাকায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা। পর্যায়ক্রমে তারা পূর্ব পাকিস্তান-ভারত সীমান্তে সংঘাতের ঘটনা বৃদ্ধি করবে। এতে সৃষ্টি হবে বিভ্রান্তি। বােঝা যাবে না সংঘাতের জন্য ঠিক কোন পক্ষ দায়ী। গ. পশ্চিম পাকিস্তানিরাও পূর্ব ভারতে অবস্থিত গেরিলাদের অভয়ারণ্যে হামলা চালাতে পারে। ভারতীয় সামরিক বাহিনী সমর্থিত কোনাে ঘাটিও হতে পারে তাদের টার্গেট। ঘ, পশ্চিম পাকিস্তানিরা ভারতীয় দৃষ্টি অন্য খাতে প্রবাহিত করতে অথবা ভারতীয় ভঙ্গুরত্ব প্রদর্শনে ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে অথবা কাশীর সন্নিহিত যুদ্ধবিরতি রেখা বরাবর হাঙ্গামা সৃষ্টির উদ্যোগ নিতে পারে। যেমনটা ঘটেছিল ১৯৬৫ সালে । পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি ঘটার মধ্য দিয়ে যুদ্ধে গড়াল। পাকিস্তানিরা মনে করে কাশ্মীর ভারতের সবচেয়ে সংবেদনশীল বিষয়।
২০ আগস্ট, ১৯৭১
১৯ আগস্ট ৭১ ইসলামাবাদে এম এম আহমাদ, রাষ্ট্রদূত ফারল্যান্ড ও মরিচ উইলিয়ামসের (যিনি ১৭-২৩ আগস্ট পাকিস্তান সফর করেন) সঙ্গে ইয়াহিয়া এক বৈঠকে মিলিত হন। ইয়াহিয়া বৈঠকে ১৪ আগস্টে তার কাছে লেখা নিক্সনের চিঠিটি পাঠ করে গভীর সন্তোষ প্রকাশ করেন। বলেন, তিনি নিক্সনের অব্যাহত সহানুভূতি, উষ্ণ সমর্থন ও বন্ধুত্বে বিমােহিত। উইলিয়াম সংক্ষেপে উল্লেখ করেন যে, পূর্ব পাকিস্তানের সম্ভাব্য গুরুতর খাদ্য সংকট নিয়ে নিক্সন উদ্বিগ্ন। কারণ তার আশঙ্কা, এ রকম সংকট দেখা দিলে ভারতে উদ্বাস্তুর স্রোত নতুন করে বেগবান হবে এবং এটা যদি অব্যাহত থাকে তাহলে এই সমস্যাই পরিস্থিতিকে বিস্ফোরণােন্মুখ করার জন্য। যথেষ্ট। এমনকি ভারত এই পরিস্থিতির অজুহাতে অবতীর্ণ হতে পারে যুদ্ধে। প্রেসিডেন্ট নিক্সন ভারতকে সংযম দেখাতে ক্রমাগত ও চাপের মুখে রেখেছেন। এক্ষেত্রে আরাে অনেক ব্যবস্থা তিনি নেবেন। জাতিসংঘ এবং প্রত্যক্ষভাবে ত্রাণ সরবরাহে যুক্তরাষ্ট্র আগ্রহী। ইয়াহিয়া বলেন, তিনি পরিস্থিতির ভয়াবহতা সম্পর্কে সজাগ রয়েছেন। এমনকি যারা বিপদ ঘন্টা বাজিয়েছে তিনি তাদের অন্যতম। তিনি একটি বিষয়ে স্পষ্ট করতে চান, এই মুহূর্তে কিন্তু উদ্বাস্তু স্রোত বন্ধ রয়েছে। ভারতীয়রা অনেক ভ্রান্তিপূর্ণ অভিযােগ আনছে, তা সেনাবাহিনী সীমান্তে রয়েছে এবং তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে নিশ্চয়তা দিতে চান যে, কোনাে উদ্বাস্তু দেশ ত্যাগ করছে না। ভারতীয়রা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আক্রমণ তীব্র করছে। উদ্বাস্তুদের প্রত্যাবর্তন প্রতিহত করছে, অস্ত্রে সজ্জিত করছে গেরিলাদের। আর উদ্বাস্তু পরিস্থিতির প্রকৃতি নিয়ে বিশ্ববাসীকে বিভ্রান্ত করছে।
উইলিয়ামস এ পর্যায়ে উদ্বাস্তু প্রবাহ রােধে পাকিস্তানি প্রয়াসে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং গুরুত্ব আরােপ করেন যে, ভবিষ্যতের ব্যাপকভিত্তিক উদ্বাস্তু প্রবাহ বন্ধে খাদ্য সংকট মােকাবেলা গুরুত্বপূর্ণ। গত দুদিনের আলােচনা থেকে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে, দুর্ভিক্ষ নিয়ে আমরা যেভাবে বিচলিত তিনিও ঠিক একই ধরনের আশঙ্কা প্রকাশ করেন। ইয়াহিয়া উল্লেখ করেন যে, পূর্ব পাকিস্ত নের জনগণের জন্য খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে তিনি এক বিরাট কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। ফারল্যান্ড উল্লেখ করেন, আমরা পূর্ব পাকিস্তানে মাঠপর্যায়ে জাতিসংঘের টিমকে কাজ করতে অনুমতি দেয়ার সিদ্ধান্তকে রাষ্ট্রনায়কোচিত পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেছি। ইয়াহিয়া বলেছেন, আন্তর্জাতিক ত্রাণ সাহায্য চেয়ে তিনি যে আবেদন করেছেন তার প্রতি তেমন সাড়া এখনাে মেলেনি। কিন্তু এটা সৌভাগ্যের যে, পূর্ব পাকিস্তানে খাদ্য মজুদের অবস্থা সন্তোষজনক। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশ নৌপথে খাদ্য পরিবহনের জন্য জাহাজ দিতে রাজি হয়েছে, কিন্তু হাতে এসে পৌছেছে মাত্র কয়েকটি। উইলিয়ামস উল্লেখ করেন যে, যদি খাদ্য মজুদ গত চার সপ্তাহের চাহিদা মেটাতে না পারত যুক্তরাষ্ট্র সেক্ষেত্রে বিমান থেকে খাদ্য নিক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আর বর্তমানে পূর্ব পাকিস্তানে ব্যাপক ভিত্তিতে মার্কিন খাদ্য সাহায্য পৌছানাের প্রক্রিয়া বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। পাকিস্তান অবশ্য নিজেও প্রেসিডেন্টের তদারকিতে যে ত্রাণ কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে তা অসাধারণ।
উইলিয়ামস গুরুত্ব আরােপ করেন যে, পাকিস্তান যদি ত্রাণ কর্মসূচি জোরদার করে তাহলে পূর্ব পাকিস্তানে ইয়াহিয়া প্রশাসনের অবস্থান দৃঢ় হবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মনে করবেন, পাকিস্তানকে তারা ভুল বুঝেছিলেন। বর্ধিত ত্রাণ বিতরণের ফলে তাদের মন থেকে এই ধারণা প্রশমিত হবে যে, পাকিস্তান কেবল সামরিক পদক্ষেপ নিতেই উদগ্রীব নয়; আন্তর্জাতিকভাবে এই ধারণা রয়েছে যে, পূর্ব পাকিস্তানে প্রধানত সামরিক ও অংশত উদ্বাস্তু ইস্যু। মােকাবেলায় তাদের তৎপরতা সীমিত রয়েছে। ইয়াহিয়া বলেন, এ পর্যন্ত তিনি যেসব গঠনমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন সে সম্পর্কে কভারেজ দিতে আন্তর্জাতিক প্রেস অনীহা প্রকাশ করে চলেছে। সরকার এসব তথ্য নিউইয়র্ক টাইমসের কাছে সরবরাহ করা সত্ত্বেও তারা তা ছাপেনি। তাই ইয়াহিয়া ভাবছেন, পূর্ব পাকিস্তানে তার সরকারের কর্মতৎপরতার ফিরিস্তি তুলে ধরতে তিনি আমেরিকান সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেবেন। উইলিয়ামস উল্লেখ করেন যে, ইয়াহিয়ার এখন উচিত হবে পাঁচটি নির্দিষ্ট বিষয়ে অধিকতর মনোেযােগ দেয়া। এম এম আহমাদের সঙ্গে আলােচনায় তিনি এসব বিষয়ে বিস্তারিত আলােচনা করেছেন। প্রথম কাজ হবে বন্দরগুলাে থেকে খাদ্য স্থানান্তরের ব্যবস্থা করা। সরকার এজন্য অবশ্য খাদ্য ও পরিবহন বিষয়ে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নরের উপদেষ্টা হিসেবে কমােডর বাজোয়াকে নিয়ােগ করেছেন। ইয়াহিয়া উল্লেখ করেন যে, নৌপরিবহন ব্যবস্থা অবশ্যই কার্যকরভাবে সংগঠিত করতে হবে।
কারণ রেল ও সড়কপথে খাদ্য সরবরাহ তেমন অনুকূল বলে গণ্য হওয়ার নয়। ইয়াহিয়া অনুশােচনা প্রকাশ করেন যে, অতীতে পূর্ব পাকিস্তানের নৌপরিবহন ব্যবস্থায়। একেবারেই কম মনােযােগ দেয়া হয়েছে। দ্বিতীয় উদ্বেগ হলাে- বন্দরগুলাে থেকে মূল  কেন্দ্রগুলােতে খাদ্য পৌছে দেয়া। ইয়াহিয়া উপলব্ধি করেন যে, এজন্য সরকারকে ছােট নৌকা ও ট্রাকের ব্যবস্থা করতে হবে। এ পর্যন্ত ক্ষুদ্র দেশী নৌকাও যথেষ্টসংখ্যক সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। এক্ষেত্রে উইলিয়ামস নয়া চিফ সেক্রেটারি হিসেবে মুজাফফর হােসেনের নিয়ােগ এবং বেশি টাকা দিয়ে ছােট নৌকা ও বাণিজ্যিক ট্রাক সগ্রহে তার পরিকল্পনার প্রশংসা করেন। উইলিয়ামস বলেন, খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে তিনি এই প্রথম এমন বুদ্ধিদীপ্ত প্রস্তাবের বাস্তবায়ন প্রত্যক্ষ করতে যাচ্ছেন। ইয়াহিয়া মন্তব্য করেন, মুজাফফর হােসেন এ কাজের জন্য যােগ্যতম ব্যক্তি। সাবেক চিফ সেক্রেটারি একজন বাঙালি (ফুটনােট প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া ফারল্যান্ডের সঙ্গে ঘরােয়া আলােচনায় মার্কিন প্রস্তাব অনুযায়ী জেনারেল টিক্কা খানকে সরিয়ে একজন বাঙালি গভর্নর নিয়ােগে সম্মতি জানান। ফারল্যান্ড তাকে চেপে ধরেন যে, আপনাকে বলতে হবে টিক্কা খানের পরিবর্তে কে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর হবে। ইয়াহিয়া ইঙ্গিত দেন যে, বেসামরিক গভর্নর হিসেবে তিনি উ, এ এম মালিকের কথা ভাবছেন। ১ সেপ্টেম্বরে তিনি তার নাম ঘােষণা করবেন। উইলিয়ামস সরেজমিনে পূর্ব পাকিস্তানের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। ২১ আগস্ট ঢাকায় জেনারেল টিক্কা ও এ এম মালিকের সঙ্গে তিনি বৈঠক করেন। ইয়াহিয়া এ সময় আরাে উল্লেখ করেন যে, পূর্ব পাকিস্তানের প্রশাসনে তিনি বাঙালিদের সম্পৃক্ত করার এক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। এ লক্ষ্যে তিনি ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ৮৮ জন সাবেক আওয়ামী লীগ প্রতিনিধির বিরুদ্ধে অভিযােগ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
এ সময় তার কাছে জানতে চাওয়া হয় যে, ৮৮ জনের বেশি আওয়ামী লীগারকে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব কি না? জবাবে ইয়াহিয়া বলেন, অন্য আর সবার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটনের সুনির্দিষ্ট চার্জ আনা হয়েছে। তবে এই আওয়ামী লীগাররা নিজেদের অভিযোেগ মুক্ত করার মাধ্যমে পরবর্তী। ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে আসন লাভ করতে পারে। ইয়াহিয়া তথ্য দেন যে, এই ৮৮ জন আওয়ামী লীগারের মধ্যে ১৫ অথবা ১৬ জন বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন। তাদের নিরাপত্তায় সরকার প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে, কারণ তারা তাদের জীবনের জন্য শঙ্কিত। ৮৮ জনের অবশিষ্টরা হয় প্রত্যন্ত অঞ্চলে অথবা ভারতে অবস্থান করছে। ইয়াহিয়া নিশ্চিত করে বলতে পারেননি যে, তাদের মধ্যে কত জন আসন গ্রহণের জন্য এগিয়ে আসবেন। তবে তিনি এক্ষেত্রে একটা ডেডলাইন বেঁধে দিতে পারেন বলে। উল্লেখ করেন। উইলিয়ামস বিস্ময় প্রকাশ করেন যে, আওয়ামী লীগ যেখানে একটি নিষিদ্ধ দল হিসেবে ঘােষিত, সেখানে এই দলের নামে কী করে অ্যাসেম্বলি সদস্য পদ বহাল রাখতে সক্ষম হবে। সম্ভবত প্রেসিডেন্ট এক্ষেত্রে এটা ভেবে দেখতে পারেন যে, আওয়ামী লীগ থেকে পুরানাে নেতৃত্ব ছাটাই করা সাপেক্ষে দলটির ওপর থেকে। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা যায় কি না। এটা সম্ভব হলে পুনর্গঠিত আওয়ামী লীগের ব্যানারে ৮৮ সদস্যের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট আলােচনায় বসতে পারেন। এ বিষয়টি এ সময় আরাে অন্যান্য দৃষ্টিকোণ থেকে পর্যালােচনা করা হয়। এতে স্পষ্ট হয় যে, প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া কোনাে সদস্য তা সে যতই পরিশুদ্ধ হােক না কেন, আওয়ামী লীগের ব্যানারে তিনি কারাে সঙ্গেই আলােচনা করবেন না।
৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১
ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল স্টাফ হ্যারল্ড স্যান্ডার্স ও স্যামুয়েল হস্কিনসন একটি সার-সংক্ষেপ তৈরি করেন। এতে বলা হয়, আমরা পূর্ব পাকিস্তানের পরিস্থিতিকে এখনাে পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে দেখছি। যদিও যুক্তরাষ্ট্র সােভিয়েত ইউনিয়ন ও চীন যুক্ত হয়ে পড়ায় এই সঙ্কটের একটি আন্তর্জাতিক মাত্রা তৈরি হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘৭১ কংগ্রেসে পেশকৃত তার পররাষ্ট্রনীতি-বিষয়ক রিপাের্টে উল্লেখ করেছেন যে, দক্ষিণ এশিয়ায় চীন অথবা সােভিয়েতের যে বৈধ স্বার্থ রয়েছে তার জন্য ক্ষতিকর কোনাে কিছুই আমরা করব না। কোনাে বহিঃশক্তি এই অঞ্চলে। আধিপত্য বিস্তারের দাবি করতে পারবে না । ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের এক সমীক্ষায়। বলা হয়, দক্ষিণ এশীয় সংকটের সুরাহা যেভাবেই হােক না কেন, বৈরিতা অবসানের পরপরই আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। চীনের প্রভাব যাতে বৃদ্ধি না পায় তার লাগাম টেনে ধরতে হবে। এটাও নিশ্চিত করতে হবে যে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে রাজনৈতিক নিষ্পত্তি যেভাবেই অর্জিত হােক না কেন, তা তাদের মানতে হবে। চীনারা যেন তা নস্যাৎ করতে না পারে।

সূত্র:  ১৯৭১ আমেরিকার গোপন দলিল – মিজানুর রহমান খান – সময় প্রকাশন

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!