ইয়াহিয়া আগেই জানতেন যুদ্ধে পরাজয় অনিবার্য
১৯৭১ সালের ৭ অক্টোবর ওয়াশিংটন অ্যাকশন গ্রুপের বৈঠকে কিসিঞ্জার জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ দফতরের এডমিরাল থমাস এইচ. মুরারের কাছে প্রশ্ন রাখেন, সামরিক পরিস্থিতি নিয়ে আপনার কি মনে হয়?’ জবাবে মুরার বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, ভারতীয়রা সংখ্যায় বেশি। পাকিস্তানীদের সঙ্গে তাদের স্থল সৈন্য সংখ্যার অনুপাত ৪ঃ১। বিমান শক্তির প্রশ্নে ফলাফল অনেকটা নির্ভর করছে, কারা আগে হামলা চালায়। কিসিঞ্জার বলেন, আমি স্মরণ করতে পারি একজন ভারতীয় পাইলটের গল্প । যিনি ঢাকার কাছে দুর্ঘটনায় পতিত হন। ভারতীয়রা বিমান চালনায় এতটাই কাচা যে, তারা এমনকি ঠিকমতাে অবতরণও করতে পারে না। এডমিরার মুরার তাকে সমর্থন জানিয়ে বলেন, আপনি ঠিকই বলেছেন। পাকিস্তানি পাইলটদের দক্ষতার তুলনায় ভারতীয়রা কিছুই না। তবে উভয় পক্ষের বিমান শক্তির ক্ষয় ঘটবে দ্রুত। ভারতীয়রা সন্দেহাতীতভাবে পূর্ব পাকিস্তান অবরােধের চেষ্টা করবে এবং সম্ভবত তারা সফলও হবে। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীও পাল্টা ব্যবস্থা ভালােই নিতে পারবে। কিন্তু সমস্যায় পড়বে রসদ নিয়ে। ভারতীয় সেনাবাহিনী চুড়ান্ত বিচারে অধিকতর ভালাে। অবস্থানে থাকবে। কারণ, তারা সংখ্যায় বেশি। প্রয়ােজনে তারা চীন সীমান্তেও পাঁচ বা ছয় ডিভিশন সৈন্য রাখতে পারে। কিসিঞ্জার বলেন, আমি কি এটা ঠিক জানি যে, চীনা শক্তি বৃদ্ধির কোনাে সাক্ষ্য-প্রমাণই আমাদের হাতে নেই। মুরার তা নিশ্চিত করেন। বলেন, সত্যিই কোনাে প্রমাণ নেই। কোনাে পক্ষেরই অব্যাহতভাবে আক্রমণ পরিচালনার মুরােদ নেই। ৪ বা ৬ সপ্তাহের মেয়াদে তারা যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে পারে।
আর সে কারণেই সংখ্যাধিক্যের কারণে ভারতের জয়লাভের সম্ভাবনাই বেশি। জনসন বলেন, ‘এটা পূর্ব পাকিস্তানে আরাে বেশি সত্য। সেখানে তাদের নিয়মিত সৈন্যসংখ্যা যেমন তেমনি তাদের রয়েছে মুক্তিবাহিনীর সমর্থন।’ ‘৭১ এর ৯ এপ্রিল কিসিঞ্জারের সভাপতিত্বে সিনিয়র রিভিউ গ্রুপের বৈঠকে সিআইএ’র প্রতিনিধি লে. জে. রবার্ট কুশম্যান জানিয়েছিলেন, ‘২৫ মার্চ থেকে পূর্ব পাকিস্তানে যুদ্ধ চলছে। ৩০ হাজার পশ্চিম পাকিস্তানি সৈন্য আনুমানিক ১০ হাজার গেরিলার বিরুদ্ধে লড়ছে।’ লক্ষণীয় যে, সদ্য অবমুক্ত করা নথিপত্রে এটা স্পষ্ট যে, নিক্সন প্রশাসন সযত্নে মুক্তিযােদ্ধা শব্দটির ব্যবহার এড়িয়ে গেছে। প্রথমদিকে গেরিলা বা বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং শেষের দিকে মুক্তি ফৌজ বা মুক্তিবাহিনী উল্লেখ করেছে।
জেনারেল কুশম্যান এপ্রিলের পরিস্থিতি বর্ণনা করছিলেন এভাবে- ১০ হাজার গেরিলা যােদ্ধার সঙ্গে বাঙালি সৈন্যদের কয়েক ব্যাটালিয়ন রয়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও অন্যান্য সেনানিবাস পশ্চিম পাকিস্তানিদের নিয়ন্ত্রণে। ১৯ এপ্রিল ‘৭১ একই গ্রুপের বৈঠকে কিসিঞ্জারের প্রশ্ন রাখেন বগুড়া কি বিদ্রোহীদের হাতে চলে গেছে? জবাবে কুশম্যান বলেন, বিদ্রোহীরা সেখানে আছে। সেনাবাহিনী এখনাে সেদিকে যায়নি। তারা কোনাে প্রকৃত বাধা ছাড়াই গ্রামের দখল নিচ্ছে। সেখানে কুড়ি থেকে চল্লিশ হাজার বা সম্ভবত তার চেয়ে বেশিসংখ্যক সৈন্য রয়েছে। বাঙালি সৈন্যরা এখনাে। প্রতিরােধ গড়তে পারছে না। কিসিঞ্জার তারা কি হারিয়ে যাচ্ছে বা বিভক্ত হয়ে পড়ছে? কুশম্যান তারা বিভক্ত হয়ে পড়ছে। নিজেদের মধ্যে কোনাে যােগাযােগ রক্ষা করতে পারছে না। এমনকি তারা কোনাে কার্যকর বাহিনীতেও পরিণত হয়নি। নিজেদের প্রতি তাদের আস্থাও দুর্বল । তারা অসংগঠিত এবং অদৃশ্যবাদী। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে তারা সমস্যার কারণ হতে পারে। যদি ভারতের কাছ থেকে তারা সাহায্য পায়। তাহলে তারা সন্ত্রাস ও নাশকতার পথ বেছে নেবে। এতে কোনাে সন্দেহ নেই যে, গােপন তৎপরতায় ভারতীয়রা সম্পৃক্ত। তারা তাদের অস্ত্র, গােলাবারুদ, খাদ্য ও চিকিৎসা সুবিধা নিশ্চিত করছে। ১৩ এপ্রিলে ঘােষিত বাংলাদেশ সরকার গঠনেও তারা সাহায্য করেছে। কিসিঞ্জার পূর্ব পাকিস্তানে আমরা কারাে সন্তুষ্টি অর্জনে যােগাযােগ অব্যাহত রেখেছি কি না? যদি সেখানে গেরিলারা কোনাে কার্যকর বাহিনী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। আবার পশ্চিম পাকিস্তান যদি নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারে? আরউইন আমাদের মাঝামাঝি অবস্থান নেয়ার এটা একটা ভালাে সুযােগ । আমরা নিজেদের জন্য অঙ্গীকারে যেতে পারি না।
কিসিঞ্জার কিন্তু মাঝামাঝি অবস্থানের অনেক সমস্যাও আছে। এটা পশ্চিম পাকিস্তানিদের বিরক্তির কারণ হতে পারে। পূর্ব পাকিস্তানের কাছ থেকে নির্দিষ্ট কিছু প্রাপ্তির সম্ভাবনা ছাড়াই, আমরা আমাদের সম্পর্ক তাদের কাছে বন্ধক রাখতে পারি না।
তা ছাড়া এটাও ঠিক যে, আমরা কিন্তু পূর্ব পাকিস্তানের নেতৃত্বকে সংজ্ঞায়িত করতে পারি না। স্টেট ডিপার্টমেন্টের ক্রিস্টোফার ভ্যান হােলেন এ সময়ে উল্লেখ করেন যে, পশ্চিম পাকিস্তানি সৈন্যরা বড় শহরগুলােতে কার্যকর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে এবং তারা সীমান্ত শহরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে, এই দুই শহর এলাকার মধ্যবর্তী স্থানে তারা কখনাে কার্যকর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারবে কি না? চট্টগ্রামে তারা অস্ত্র খালাস করতে পারে না। কারণ, এই শহরটি তাদের পূর্ণ দখলে নেই। বাঙালিদেরও তারা কোনাে কাজে লাগানাের অবস্থানে নেই। প্রশ্ন হলাে, ভারত এখনাে বসে থাকবে কি না? তারা পূর্ব পাকিস্তানের চরমপন্থিদের নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং তারা গােপনে আন্তঃসীমান্ত কোনাে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। ঢাকা ও চট্টগ্রামের মধ্যে বাসযােগে চলাচলের কোনাে উপায় নেই। রেল যােগাযােগও বন্ধ। পূর্ব পাকিস্তানের সরকার কার্যত অচল। কিসিঞ্জার প্রশ্ন রাখেন, এখন আমাদের করণীয় কী হবে, তা নির্ধারণে আমাদের বুঝতে হবে যে, পূর্ব পাকিস্তানের পরিস্থিতি বাস্তবে কোন পর্যায়ে? প্রেসিডেন্ট মনে করেন, ইয়াহিয়ার সঙ্গে তার একটি বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। সুতরাং তার ব্যাপারে কোনাে সিদ্ধান্ত নিতে তিনি খুবই শিথিল মনােভাব দেখাবেন।
এ ধরনের শীতলতা হয়তাে অতিক্রম করা সম্ভব হতে পারে। কিন্তু এই পর্যায়ে তা করা সম্ভব নয়। ২১ এপ্রিল ‘৭১ পাকিস্তানে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ফারল্যান্ডের কাছ থেকে ব্যাক চ্যানেল বার্তা পৌছায় কিসিঞ্জারের কাছে। এতে উল্লেখ করা হয়, পূর্ব পাকিস্তান একটি গেরিসন স্টেটে পরিণত হতে চলেছে। ভারত পদ্ধতিগতভাবে অনুপ্রবেশ ঘটানাে এবং অস্ত্র সহায়তা নিশ্চিত করবে। গেরিলা যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী। তবে এর ব্যাপকতা কতটা তা এখন নিরূপণ করা যাচ্ছে না। আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশ প্রবক্তারা সব সরকারি ও বেসরকারি ফোরাম ব্যবহার করবে। যদি বাংলাদেশ কখনাে বাস্তবতায় পরিণত হয়, তখন তা হবে বিশ্বের অন্যতম নিকৃষ্ট শিরপীড়ার কারণ। তাদের ক্ষুদ্র অর্থনৈতিক ও আমলাতান্ত্রিক অবকাঠামাে থাকবে এবং নিজেদের গড়ে তুলতে তাদের কোনাে প্রাকৃতিক সম্পদ নেই। এটা। অবিশ্বাস্য, কিন্তু সত্য যে, দেশটি আয়তনে প্রায় লুজিয়ানার মতাে। ২০০০ সালে এটির লােকসংখ্যা ২০০ থেকে ২৭৫ মিলিয়নে পৌছাবে। ২৮ এপ্রিল, ১৯৭১ কিসিঞ্জার নিক্সনকে জানান, পূর্ব পাকিস্তানে পশ্চিম পাকিস্তানি মিলিটারি ক্র্যাক।
ডাউনের তিন সপ্তাহ পর পরিস্থিতির তিনটি বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে। ক, পশ্চিম পাকিস্ত যনি সামরিক বাহিনী দৃশ্যত দৈহিকভাবে প্রধান শহর ও অদূরবর্তী এলাকা নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে। পাক সৈন্যরা প্রতিরােধের সম্মুখীন হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু তা বড় দুর্বল। গেরিলারা অসংগঠিত এবং তাদের অস্ত্রশস্ত্রও অপ্রতুল। খ. পাক সেনাদের দৈহিক উপস্থিতি, খাদ্যবন্টন ও স্বাভাবিক অর্থনৈতিক তৎপরতা নিশ্চিত করতে পারবে না। এটা করতে হলে তাদের অবশ্য বাঙালিদের সহযােগিতা পেতে হবে। আর তা এখন। প্রায় অনিশ্চিত। গ, নিপীড়নমূলক পদক্ষেপের ফলে যদি সাফল্য আসেও তাহলে তার ওপর ভরসা করা যাবে না। কারণ এটা পশ্চিম পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে গণঅসন্তোষ ও ঘৃণা ছড়িয়ে দেবে। কিসিঞ্জার বহিস্থ প্রভাব সম্পর্কে উল্লেখ করেন, ভারতের ভূমিকা হবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বাঙালিদের ক্ষুদ্র প্রতিরােধ বাহিনীকে তারা ইচ্ছা করলে অস্ত্র প্রশিক্ষণ ও রসদ দিয়ে গেরিলা যুদ্ধের স্থায়িত্বকে বাড়িয়ে দিতে পারে। আমরা যেসব ইঙ্গিত পাচ্ছি তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভারত সেদিকেই যাচ্ছে। ভারত একটি বাঙালি সরকারকে স্বীকৃতি দিয়ে ইয়াহিয়ার রাজনৈতিক সমঝােতার পথ রুদ্ধ করে দিতে পারে। পাকিস্তানিদের এ কারণে অধিকতর সতর্ক মনে হচ্ছে।
৪ মে, ১৯৭১ এই তারিখে নির্দিষ্টভাবে মুক্তিযােদ্ধা বিষয়ক একটি টেলিগ্রাম যায় ভারতের মার্কিন দূতাবাস থেকে স্টেট ডিপার্টমেন্টে। লক্ষণীয়ভাবে এই টেলিগ্রামের শিরােনাম হচ্ছে মুক্তিযােদ্ধাদের প্রতি কথিত ভারতীয় সমর্থন। এতে বলা হয়- ৩ মে পররাষ্ট্রমন্ত্রী শরণ সিংয়ের সঙ্গে আমার বৈঠকে আমি তাকে অবহিত করি যে, ডিপ্লোমেটিক কোরের একাধিক সহযােগী জানিয়েছেন যে, তাদের কাছে সাক্ষ্যপ্রমাণ রয়েছে, ভারতীয় ভূখণ্ডে। মুক্তিযােদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। (ফুটনােট : ৩০ এপ্রিল স্টেট ডিপার্টমেন্ট এক টেলিগ্রামে সংবাদপত্রের রিপাের্টের বরাতে উল্লেখ করে, ইঙ্গিত মিলছে যে, ভারত পূর্ব। পাকিস্তানে গেরিলা কার্যক্রম চালাতে উদ্বাস্তুদের প্রশিক্ষণদানের পরিকল্পনা করছে। ডিপার্টমেন্ট মনে করে যে, এ ধরনের প্রশিক্ষণ প্রদান উদ্বাস্তুদের জন্য মানবিক সাহায্যের সরবরাহকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে)। আমি তার কাছে ব্যক্তিগতভাবে জানতে চাইলাম, আচ্ছা আপনারা যে বাংলাদেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিকে সহায়তা দিচ্ছেন, তার যুক্তিটা কী?
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনি যেসব তথ্যের ভিত্তিতে এ কথা বলছেন, তা ‘নিরঙ্কুশভাবে ভ্রান্ত। পররাষ্ট্র সচিব কাউল এ সময় ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে ফ্রাঙ্ক মােরাস ও অন্যান্য ব্রিটিশ ও আমেরিকান সাংবাদিকদের পরিবেশিত রিপাের্ট নিয়ে কথা বলেন। তার কথায়, উদ্বাস্তুদের পক্ষে যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার প্রশ্নই আসে না। তারা ক্ষুধার্ত, রুগ্ণ এবং কখনাে কখনাে প্রায় নগ্ন।’ কাউল গুরুত্ব আরােপ করেন যে, পূর্ব পাকিস্তানে যুদ্ধের যারা প্রস্তুতি নিচ্ছে, সেসব স্বেচ্ছাসেবীদের বরং তারা প্রতিরােধ করেছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী শরণ সিং বলেন, তিনি এটা ভেবে অস্বস্তিবােধ করছেন যে, পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলাে ভারতের ভূমিকার প্রশ্নে নানা কথা বানিয়ে বলছে। এসব খবরাখবর উপযুক্তভাবে যাচাই করে নেয়া হয়নি। মি. সিং বলেন, ‘আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে এ সব অভিযােগ প্রত্যাখ্যান করছি।’ তিনি আমাকে লক্ষ্য করে বলেন, আমি আপনার কাছে একটি বিশেষ অনুরােধ রাখছি যে, এ ধরনের পরিস্থিতিতে ভারতকে রক্ষণাত্মক অবস্থানে ফেলতে যুক্তরাষ্ট্র যেন শতবার ভাবে। ৮ জুলাই, ১৯৭১ কিসিঞ্জার ইয়াহিয়ার সঙ্গে একান্তে মিলিত হন ইসলামাবাদে। এই সংলাপ রেকর্ড করা। হয়নি। পরে কিসিঞ্জার বলেন, ইয়াহিয়া এবং তার সহযােগীদের বিশ্বাস ভারত যুদ্ধে জড়াবে না। তবে ইয়াহিয়া স্বীকার করেন যে, যুদ্ধ হলে ভারতই জিতবে। আমি তখন কৌশলে বললাম, ভারত সংখ্যা ও সরঞ্জামে এগিয়ে। তখন তারা অবশ্য ইসলামি জোশের দোহাই দেন। বলেন, ঐতিহাসিকভাবে মুসলিম যােদ্ধাদের শ্রেষ্ঠত্ব স্বীকৃত।
সূত্র: ১৯৭১ আমেরিকার গোপন দলিল – মিজানুর রহমান খান – সময় প্রকাশন