You dont have javascript enabled! Please enable it!
‘স্বাধীনতা লাভের ছয় মাসের মধ্যে বাঙালিরা বুঝতে পারবে পাকিস্তানিদের নিপীড়নের চেয়ে ভারতীয়দের নিপীড়ন হবে অধিক নিকৃষ্ট।’ – কিসিঞ্জার
প্রেসিডেন্ট নিক্সন ও কিসিঞ্জার মনে করতেন স্টেট ডিপার্টমেন্টের একটি অংশ ভারতপন্থি। যদিও বলা হয়ে থাকে মাউন্টব্যাটেন বাংলাদেশের জন্ম দেখেছিলেন। কিন্তু কিসিঞ্জার স্পষ্ট বলেছেন, পাঁচ বছর আগেও রাশিয়ার সহযােগিতায় এবং কারাে কাছ থেকে বাধা না পেয়েই বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের ব্যাপারে যদি কেউ ভবিষ্যদ্বাণী করত তা হলে তা উদ্ভট মস্তিষ্কের সৃষ্টি বলেই গণ্য হতাে। কিসিঞ্জারের একটি উক্তিতে স্পষ্ট যে, তিনি মনে করতেন যারা বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পক্ষে তাদের অবস্থান ভুল। কারণ তার কথায়, ‘স্বাধীনতা লাভের ছয় মাসের মধ্যে বাঙালিরা বুঝতে পারবে পাকিস্তানিদের নিপীড়নের চেয়ে ভারতীয়দের নিপীড়ন হবে অধিক নিকৃষ্ট।’
৮ ডিসেম্বর, ১৯৭১
স্থান ওয়াশিংটন।
উপমহাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলছেন নিক্সন, কিসিঞ্জার ও এর্টনি জেনারেল মিশেল।
নিক্সন: ওহ যিশু!
মিশেল: চীনারা কিন্তু তাদের সামরিক বাহিনীতে বিরাট অভ্যন্তরীণ ঝামেলার মুখে আছে। সে কারণেই তারা ভীত।
নিক্সন: কিন্তু চীনাদের সাহায্য ছাড়া তাে আমরা এটা করতে পারি না। আমার তাে মনে হয়, চীনারা যদি সীমান্ত পর্যন্ত এগিয়ে আসে তাহলে ভারতীয়রা একটু হলেও ভয় পাবে। তুমি কি চীনের কাছ থেকে কোনাে বার্তা পেয়েছ?
কিসিঞ্জার: তারা আমাদের আগাম কোনাে প্রতিশ্রুতি দিতে চায় না। সমস্যা হলাে জর্ডানের প্লেন নিয়ে। তবে কেন যেন আমার মনে হচ্ছে যেভাবেই হােক না কেন। তারা প্লেন পাঠাতে যাচ্ছে। (অস্পষ্ট)
নিক্সন: শাহের কাছ থেকে কোনাে আগাম প্রতিশ্রুতি?
কিসিঞ্জার: না। আমরা মার্কিন নাগরিকদের অপসারণের অজুহাত দেখিয়ে ভিয়েতনাম থেকে বঙ্গোপসাগরে একটি এয়ারক্রাফট নিয়ে যেতে হবে।
নিক্সন: আমাদের হাতে সময় নেই। আমি এটা অনতিবিলম্বে দেখতে চাই। এজন্য চব্বিশ ঘণ্টা বিলম্ব আমার সইবে না।
কিসিঞ্জার: আমরা ইতােমধ্যেই ঢাকায় এয়ারপ্লেন নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছি। কিন্তু কিটিংয়ের (ভারতে নিযুক্ত তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত) অবস্থান ভিন্ন। তার কথা হচ্ছে, বাংলাদেশকে ভারতের স্বীকৃতিদানের মধ্য দিয়েই এটা প্রমাণিত হচ্ছে যে, তার কোনাে ভূখণ্ড দখলের অভিপ্রায় নেই। কিটিং বলেছেন, তিনি এই মতের সঙ্গে একমত। আমি বুঝতে পারি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকে এ কথাটা গিলিয়েছে।
মিশেল : বাংলাদেশ সম্পর্কে রাশিয়া কি করতে যাচ্ছে?
কিসিঞ্জার: তাহলে এখনাে মনস্থির করতে পারেনি।… মি. প্রেসিডেন্ট। আমাদের হাতে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য আরাে চব্বিশ ঘণ্টা সময় রয়েছে। এখন আর আপনার সঙ্গে কথা বলতে চাই না। সব কাজ একসঙ্গে গুছিয়ে ফেলতে চাই। চীনাদের একটা নােট দেব। বঙ্গোপসাগরে আমরা কেরিয়ার নিয়ে যাচ্ছি। আপনি চীনাদের বলতে পারেন কিছু সৈন্য সীমান্তে নিয়ে যেতে। জর্ডান যেভাবেই হােক তাদের দুই স্কোয়াড্রন বিমান পাঠাচ্ছে। পাকিস্তানি পাইলটরা ইতােমধ্যেই সেখানে পৌছে গেছে। সুতরাং ইরানের মতাে দেশগুলাে তাকে অনুসরণ করতে ভুলবে না। আমরা যদি পাকিস্তানে সরাসরি অস্ত্র না পাঠাতে পারি তাহলে আইনগতভাবে জর্ডান। অস্ত্র পাঠাতে পারে। কারণ আইন বলছে যে দেশ মার্কিন অস্ত্র সহায়তা পাওয়ার। অধিকারী, তারা অন্য দেশ থেকেও মার্কিন অস্ত্র গ্রহণ করতে পারে। এখন পাকিস্তান যেভাবে জর্ডানের প্লেন পাচ্ছে সেক্ষেত্রে রাজাকে কিন্তু বলতে হবে আমরা কিন্তু আপনাকে আইনি অনুমতি দিতে পারব না। কিন্তু একই সঙ্গে তাকে এটা বলব, আপনি চালিয়ে যান, আমরা চোখ বন্ধ করে রাখব।
নিক্সন: জর্ডানকে আশ্বস্ত করতে হবে যে, ইসরাইল যাতে তার কোনাে ক্ষতির কারণ হতে না পারে, তা আমরা দেখব।
কিসিঞ্জার: কিন্তু আমাদের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রতিশ্রুতি না পেলে ইরানের শাহ কিন্তু কাজ করতে রাজি হবে না। সেটা কংগ্রেসের জন্য নয়, রাশিয়ানদের ভয়ে। সবচেয়ে ভালাে হয়, ইরানের প্লেন যদি জর্ডানে যায়।
নিক্সন: আমি ভাবছিলাম কি? চীনকে সাজ্ঞ কথাটা বলে দিতে। কথাটা হলােএটা হবে একটা ড্রেস রিহার্সাল এবং তারা যদি সীমান্তের দিকে কিছুটা অগ্রসর হয়, তাহলে তা ভারতকে সংযত করবে। আর সে ক্ষেত্রে চীনারা নিরাপদেই থাকবে। রাশানরা নিশ্চয় চীনাদের ডাম্প করতে যাচ্ছে না। অন্তত এখন নয়। 
কিসিঞ্জার: মি, প্রেসিডেন্ট। আমার তাে মনে হয় রাশানরা বাণিজ্য সুবিধা, মধ্যপ্রাচ্যের সমঝােতা ও সঙ্কট নেগােসিয়েশন পরিত্যাগ করবেন। …আমি এ অনুমান করতে পারি যে, চীনারা তেমন কিছু করবে না। তবে তারা যদি একটুও অগ্রসর হয়, তাহলে পশ্চিম সীমান্তে বেশি সৈন্য সমাবেশ ঘটানাে থেকে ভারতকে তা বিরত রাখবে।
কিসিঞ্জার: মি. প্রেসিডেন্ট আজ থেকে পাঁচ বছর আগে কেউ যদি অনুমান করত যে, রাশিয়ার সহায়তায় পাকিস্তান ভেঙে যাবে এবং কেউ সেজন্য কিছু বলবে না তাহলে তাকে সবাই পাগল ভাবত।
নিক্সন: আমি আসলে টেড কেনেডিকে নিয়ে চিন্তিত নই।
কিসিঞ্জার: আমি আসলে মনে করি তারা সবাই এই ইস্যুটির ভুল দিকে দাঁড়িয়ে আছে। এর কারণ হলাে- ছয় মাসের মধ্যে বাঙালিদের কাছে এটা স্পষ্ট হবে যে, পাকিস্তানিদের নিপীড়নের চেয়ে ভারতীয়দের নিপীড়ন অনেক বেশি নিকৃষ্ট হবে।
২৮ জুলাই, ১৯৭১
স্থান ওয়াশিংটন সময় বিকেল ৪ ২১ থেকে ৪:৫৪
কথা বলছেন নিক্সন, কিসিঞ্জার ও পাকিস্তানে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ফারল্যান্ড।
নিক্সন : তুমি তাে সবই জান আমাদের বিরুদ্ধে কি অপপ্রচারই না চলছে! আচ্ছা তােমার কি ধারণা, এই যে কিটিং (ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত) এখানে ঘুরঘুর করেছিল তা কি ভারতের পক্ষে লবি করার জন্য? সে যখন এখানে ছিল তাকে কি পাকিস্তান সম্পর্কে ভালাে কিছু বলতে শুনেছ?
ফারল্যান্ড: আমি আসলেনিক্সন এটা জানা কি দরকারি?
কিসিঞ্জার: এটা মনে হয় প্রয়ােজন পড়বে- (অস্পষ্ট)
ফারল্যান্ড: আমি একমত। যদিও আমি চেষ্টা করেছিলাম, একটু লােপ্রােফাইল বজায় রাখতে আমি চীন সফরের বিশদ জানতে আগ্রহী হইনি।
নিক্সন: ও, তুমি ঠিকই করেছ। তুমি বলবে আমি কিছুই বলিনি।
ফারল্যান্ড: দুপুরে খাবার সময় চাক পার্সিকে দেখলাম স্টেট ডিপার্টমেন্টে ফদ্ধান্ধক কেলােগ তার জন্য ভােজের আয়ােজন করে। সেখানে বেশ কয়েকজন কংগ্রেসম্যানও ছিলেন? এবং তারা সবাই বিস্ময় প্রকাশ করলেন। কেন আমার এখানে আসাটা আগে জানতে পারেনি? কেন আমি একটি কমিটির সামনে হাজির হচ্ছি? আমি কিছুই বলিনি। বলেছি, আমি জানি না। তবে চার্লস ব্রে’র সঙ্গে আমি একমত হয়েছি শুক্রবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে একটা ব্যাকগ্রাউন্ড দিতে।
নিক্সন: উত্তম।
কিসিঞ্জার: সেটা জবানবন্দির চেয়ে ভালাে।
নিক্সন: ভালাে। প্রেস ব্যাকগ্রাউন্ড পেতে খুব পছন্দ করে। কংগ্রেসকে জাহান্নামে যেতে দাও।
ফারল্যান্ড: এই দৃশ্যের আরেকটি বিপরীত চিত্র রয়েছে। আমি এটা জোর দিয়ে বলতে পারি ইয়াহিয়াকে আমরা যদি এই দিকটি পর্যন্ত ঠেলে নিয়ে যাই তাহলে তার প্রতিক্রিয়া হবে এমনই যে, সমগ্র উপমহাদেশ তখন (অস্পষ্ট) আমি বলতে চাইছি তিনি যুদ্ধ করবেন। এমনকি তিনি (অস্পষ্ট)। তিনি যদি যান তাহলে (অস্পষ্ট) আমাদের জীবনকালে মানব জাতি এমনটা আর কখনাে দেখেনি। চীনারা সােজা আসাম থেকে চলে আসবে। অন্যদিক থেকে চীনারা মিন্টোকা পাস দিয়ে চলে আসবে। এবং কাশ্মীরে শুরু করবে গেরিলা যুদ্ধ । তারা সবকিছু ঘিরে ফেলবে। তখন ভারতীয় সৈন্যরা শােরগােল তুলে (অস্পষ্ট)…
নিক্সন: আমাদের অবস্থান তখন কি হবে বলে মনে করাে?
ফারল্যান্ড: আমার মনে হয় আমরা তাই করছি যা আমাদের করা উচিত? এটা এমন এক নীতি যাকে আমি সমর্থন করি। আমি মনে করি না যে, আমরা বাড়াবাড়ি করতে পারি এবং আমি মনে করি না যে, আমরা কোনাে ইতিবাচক অ্যাকশনের ভরসায় আছি। মি. প্রেসিডেন্ট আমি আজ সকালে যেমনটা বলেছি এই সমস্যার মূলে যেতে হলে আমাদেরকে ৭১২ খ্রিস্টাব্দে ফিরে যেতে হবে। যখন মুসলমানরা প্রথম সিন্ধে আগ্রাসন চালিয়েছিল। সেই থেকে উপমহাদেশে কোনাে শান্তি নেই। কারণ হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে অভিন্ন বলে কিছুই নেই। তাদের জীবনের প্রত্যেকটা দিক বৈপরীত্যে পূর্ণ। অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, আবেগ যাই বলুন না কেন, কোনাে কিছুতেই মিল নেই। একজন দেব-দেবীর পূজা করে, অন্যের এক সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী । একদল গরু পূজা করে, অন্য দল খায়। এটাই হলাে সহজ কথা এবং গত বছরে ভারতে ৫২১টি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়েছে।
নিক্সন: এক চরম দুরবস্থার ঠিকানা।
কিসিঞ্জার: আমার সফরের পরে একটা বিষয় স্পষ্ট যে ভারতীয়রা পূর্ব পাকিস্তান সম্পর্কে ভাবছে। কারণ তারা মনে করে পশ্চিম পাকিস্তান (অস্পষ্ট) তারা ভাবে, তারা যদি পূর্ব পাকিস্তানকে খাটো করতে পারে তা হলে পশ্চিম পাকিস্তানের অনেক শক্তিকে উৎসাহিত করতে পারবে। পুরাে পাকিস্তান হয়ে পড়বে ঢিলেঢালা । আর তখন গােটা পাকিস্তানই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। ভারতীয়রা এবং পশ্চিম পাকিস্তানিরা পরস্পরকে ঘৃণা করে।
নিক্সন: নিশ্চয় । সেটাই তাদের ভয়। এখন খারাপ দিকটাই তােমরা আমাকে বলাে, ইয়াহিয়া কি যুদ্ধ করবে?
ফারল্যান্ড: হ্যা, নিশ্চয় করবে।
নিক্সন: এটা হবে তার জন্য আত্মহত্যা।
কিসিঞ্জার: আমি আপনার সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত। তিনি যুদ্ধ করবেন। লিংকন যেভাবে যুদ্ধ করতেন। তার কাছে পূর্ব পাকিস্তান পাকিস্তানের অংশ (অস্পষ্ট)।
কিসিঞ্জার: কারণ তাদের পরাজয়ের ভীতি। তাদের জাতীয় ঐক্যের অনুভূতির বিপরীতে পরাজয়ের আশঙ্কা ক্ষুদ্র বিবেচনার বিষয়। স্মরণ করুন, প্রায় প্রত্যেকেই দেশ ভাগের কথা মনে রেখেছে। 
নিক্সন: ভয়ঙ্কর নিধনযজ্ঞ?
ফারল্যান্ড: স্বীকৃত পরিসংখ্যান হচ্ছে ৫ লাখের বেশি। পনের লাখ উদ্বাস্তু ছিল রাস্তায়।… আরেকটা কথা বলি, ভারতীয়রা কিন্তু অতীতেও ছিল ‘মাস্টার্স অব প্রােপাগান্ডা’ । কিন্তু পাকিস্তানিরা তা নয়- (অস্পষ্ট কথােপকথন)
ফারল্যান্ড: এটা হলাে পাকিস্তানে অস্ত্র সরবরাহ।
নিক্সন: ও আচ্ছা।
ফারল্যান্ড: ২৫ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত আমরা পয়েন্ট ২২ অ্যামুনেশন পাঠিয়েছি। ২২শ’ রাউন্ডের বেশি। ইয়াহিয়া আমাকে বলেছেন, তারা ভারতে গেরিলাদের (মুক্তিযােদ্ধা) ২৯টি ক্যাম্প চিহ্নিত করেছে। কিন্তু আজ আপনাকে এটা বলতে ঘৃণা বােধ হচ্ছে যে, মি, প্রেসিডেন্ট গেরিলা তৎপরতা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে শুধু বাড়ছে। তারা এখন প্রতিদিন গড়ে ১৮ পাকিস্তানি নিধন করছে। আর দিনে দুটো ব্রিজ উড়িয়ে দিচ্ছে। আর বুঝতেই পারছেন রাজনৈতিক সমাধান বলতে তার (ইন্দ্রিরা গান্ধী) গ্রন্থে বাংলাদেশকেই বােঝায়। এটা খারাপ।
নিক্সন: আমি ভাবছি, আমরা আমাদের পথেই এগিয়ে যাব। আমরা যেমনটা তুমি জান। স্টেট ডিপার্টমেন্টের আমলাদের সঙ্গে এসব বিষয় নিয়ে আমাদের বড় টানাপড়েন যাচ্ছে। তারা প্রকৃতপক্ষে ভারতপন্থি। আমি যখন বলি ‘তারা’ তখন কিন্তু। সবাইকে বােঝায় না এবং তারা আমেরিকান প্রেস যা লিখে তাই বিশ্বাস করতে চায়। এবং সত্যি বলতে কি, আমেরিকান প্রেস সেকথাই লিখে যা ভারতীয় প্রেসে ছাপা হয়। অবিকল একই কথা।
ফারল্যান্ড: ভালাে কথা, আমাদের ঢাকার কন্সাল জেনারেলের খবর কি? নিক্সন সে মােটেই ভালাে লােক নয়। ফারল্যান্ড সব কিছুতেই সর্বাগ্রে বাঁশি বাজায়। নিক্সন: বড় খারাপ। নয় কি?
ফারল্যান্ড: যাক সে চলে গেছে। এখন মনে হয় স্টেট ডিপার্টমেন্টে আছে এবং ঢাকার ইউএসআইএস প্রধান তার রিপাের্টগুলাে পড়লে মনে হয় চাতুর্যপূর্ণ। তাকে বিদায় দেওয়া উচিত।
নিক্সন: ভালাে কথা।
ফারল্যান্ড: আর একটা কথা। তার ভূমিকা খুবই কঠিন। তার নাম এরিক গ্রাফেল । তিনি এইড দেখেন ঢাকার এইডের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহযােগী পরিচালক ছিলেন গ্রাফেল)। তিনি সেপ্টেম্বরে যাবেন। আমি চাই তাকে এখনই বিদায় দিতে। তবে আমি মনে করি না যে, তাকে আপনার পক্ষে সরানাে
নিক্সন: প্রতিক্রিয়া?
ফারল্যান্ড : হিলের (ক্যাপিটাল হিল) দিক থেকে প্রতিক্রিয়া এবং আমার অনুমান কিছু তথ্য ফাঁস করার নেপথ্যে হয়তাে তিনি অনুঘটক।
নিক্সন: বেজন্মার বাচ্চা। (এদিনের সংলাপ এখানেই শেষ)

সূত্র:  ১৯৭১ আমেরিকার গোপন দলিল – মিজানুর রহমান খান – সময় প্রকাশন

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!