১১ নভেম্বর ১৯৭১ঃ যুদ্ধ পরিস্থিতি
ফুলগাজী দখল
পাকবাহিনীর ৩টি জঙ্গী বিমান বিকেলে মিত্রবাহিনীর বিলোনিয়া এবং পরশুরাম অবস্থানের ওপর আক্রমণ চালায়। মিত্রবাহিনী ফুলগাজী দখলের পর ১নং সেক্টর কমান্ডার মেজর রফিক এবং জেনারেল অরোরা ত্রিপুরার সাংবাদিকদের একটি দল নিয়ে ফুলগাজী সফর করেন।
দিনাজপুর
দিনাজপুরের দক্ষিণপূর্বে ভারতীয় সৈন্যযোগে চররা ধানতারা এবং মোহনপুর সীমান্ত অতিক্রম করে ভিতরে প্রবেশ করে। এ সময় পাক বাহিনী কোন বাধা দেয়নি। ভোরের দিকে পাকিস্তান সেনাবাহিনী তাদের উপর অতর্কিতে হামলা করে। এসময় তারা পলায়ন করার চেষ্টা করে। গোলাগুলিতে এখানে ৪৫ জন ভারতীয় চর নিহত হয়। কাজিয়াল সীমান্তেও অনুরূপ ঘটনায় তাদের অনেক হতাহত হয়।
রাজশাহীর নবীনগরে নৌকা যোগে প্রবেশের সময় ভারতীয় চরদের উপর আল শামস আক্রমন করে ফলে তাদের নৌকা ডুবে যায়। এখানে ২ জন নিহত হয় ৩ জন আটক হয়।
রংপুরে ভারতীয় চরদের একটি দল তিস্তা নদীতে ৩টি নৌকা যোগে একটি অপারেশনে যাওয়ার পথে দেশ প্রেমিক নাগরিকরা রাজাকারদের খবর দেয়। খবর পেয়ে রাজাকাররা গাইবান্ধার চাপানিতে তাদের প্রতিরোধ করে। এখানে চরদের সাথে সংঘর্ষে তাদের নৌকা ডুবে যায় এবং ৫ জন নিহত হয় আটক হয় ৪ জন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে রাজাকারদের আক্রমনে ভারতীয় চরদের একটি দল অস্র গোলাবারুদ ফেলে পালিয়ে যায় রাজাকার রা প্রচুর অস্র আটক করে। যশোরের আলিপুরে রাজাকারদের হামলায় ২ জন ভারতীয় চর নিহত হয়।
ময়মনসিংহে ২০০০ চর ও ভারতীয় সৈন্য হালুয়াঘাট সীমান্তে আক্রমন করে। পাক বাহিনী দক্ষতার সাথে তাদের প্রতিরোধ করে।
৯ গেরিলা যোদ্ধা নিহত
১৯৭১ সালের এই দিনে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের জগন্নাথদীঘি ইউনিয়নের বেতিয়ারা এলাকায় ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি ও ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর ৩৮ জনের একটি দল একটি অপারেশনে গেলে পাক বাহিনীর এম্বুশে পরে যায়। এ ঘটনায় সে দলের ৯ বীরযোদ্ধা শহীদ হন। বেতিয়ারায় পাক বাহিনীর হাতে নিহতরা হলেন নিজাম উদ্দিন আজাদ (ছাত্র নেতা), সিরাজুল মনির, জহিরুল হক দুদু, মোহাম্মদ সফি উল্যাহ, আওলাদ হেসেন, আবদুল কাইউম, বশিরুল ইসলাম, মোঃ শহীদ উল্যাহ ও কাদের মিয়া।