১০ নভেম্বর, ১৯৭১ঃ বিবিধ
মওলানা আবদুর রহিম
পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর সহকারী আমীর মওলানা আবদুর রহিম পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ডা. মালিকের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি গভর্নরকে পূর্ণ নিশ্চয়তা দিয়ে বলেন, পূর্ব পাকিস্তানে শান্তি ও স্বাভাবিক অবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং পাকিস্তানের অখন্ডতা ও সংহতি রক্ষার উদ্দেশ্যে যে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যাপারে জনসাধারণ সরকারের পাশে থাকবে।
পশ্চিম পাকিস্তান আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মঞ্জুরুল হক
বে আইনী ঘোষিত আওয়ামী লীগ করাচী শাখা সভাপতি শেখ মঞ্জুরুল হক বলেন ডিসেম্বরে নির্বাচিত তার দলের এমএনএরা এখনও অন্য কোন দলে যোগ দেয়নি। যে সকল দল বলে বেড়াচ্ছে যে তাদের কেউ কেউ তাদের সাথে আছেন বা যোগ দিচ্ছেন এমন সংবাদ সম্পূর্ণ ভুয়া। দলের সদস্যরা নিজেদের মধ্যে করণীয় আলাপ আলোচনা শেষ করে এনেছেন এবং অদূর ভবিষ্যতে তারা বৈঠকে মিলিত হবেন বা প্রকাশ্য হবেন। তিনি বলেন আওয়ামী লীগারদের ব্যাক্তিগত পর্যায়ে রাজনীতি নিষিদ্ধ নয় কিন্তু আওয়ামী নাম ব্যাবহারে মানা( নিষিদ্ধ) কেন হবে। তিনি বলেন তার দলের উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সম্ভাবনা আছে।
অর্থমন্ত্রী আবুল কাশেম
অর্থমন্ত্রী আবুল কাশেম বলেছেন অনিচ্ছুক শরণার্থীদের দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। অনিচ্ছুক বা ফিরে আসতে ভারত বাধা দিচ্ছে এমন ক্ষেত্রে পাকিস্তানকে দোষারোপ করা যাবে না। তিনি বলেন প্রেসিডেন্ট শরণার্থীদের দেশে ফিরে আসতে আহ্বান করেছেন এবং পুনর্বাসনেরও আশ্বাস দিয়েছেন। এ বিষয়ে তাদের সারা আশাবেঞ্জক বলে তিনি জানিয়েছেন। তিনি বলেন ১৯৫০ সালের ঘটনার সাথে এ ঘটনা মিলানো যাবে না। তখন দাঙ্গার কারনে ৩০ লাখ মুসলমান পূর্ব পাকিস্তানে আসতে বাধ্য হয়েছিল। তিনি ভারতীয় হুমকির তীব্র নিন্দা জানান।