১০ নভেম্বর, ১৯৭১ঃ পশ্চিমা দেশ সফরে শেষ পর্যায়ে পশ্চিম জার্মানিতে ইন্দিরা গান্ধী
পরে সকালে ইন্দিরা গান্ধী পশ্চিম জার্মানির উদ্দেশে প্যারিস ত্যাগ করেন। সকালে তিনি বিমান যোগে কোলন পৌঁছেন সেখান থেকে হেলিকপ্টারে ১০ মিনিট দুরত্তে বনের জিম্নিখ প্রাসাদে পৌঁছেন। বন পৌঁছে বন-এ ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও পশ্চিম জার্মান চ্যান্সেলার উইলি ব্রান্টের মধ্যে প্রথম দফা আলোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে ইন্দিরা গান্ধী সাংবাদিকদের বলেন, ভারত পূর্ববঙ্গের অধিবাসীদের নিজের পছন্দ মতো একটি রাজনৈতিক সমাধান আশা করে। পশ্চিম জার্মান চ্যান্সেলর উইলি ব্রানডট পূর্ব পাকিস্তান সমস্যা সমাধানের পদক্ষেপ গ্রহন করার জন্য পাকিস্তানের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। তিনি ইন্দিরা গান্ধীর সন্মানে দেয়া ভোজসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন পশ্চিম জার্মানি গভীর উদ্বেগের সাথে ভারতীয় উপমহাদেশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ব্রানডট বলেন পূর্ব পাকিস্তান হতে লাখ লাখ শরণার্থী আগমনে ভারত যে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে উহার প্রতি তার সরকারের গভীর সহানুভূতি রয়েছে। তিনি বলেন বিষয়টি পাকিস্তানের বিষয় এবং সমাধান পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের উপরই বর্তায়। সামরিক সংঘর্ষের বিপদ প্রশমন এবং অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক উভয়দিক দিয়ে একটি সমঝোতায় উপস্থিত হওয়ার উপায় উদ্ভাবনের জন্য তিনি সকল পক্ষের প্রতি আহবান জানান।