৯ নভেম্বর, ১৯৭১ঃ নূরুল আমিন-মওদুদী বৈঠক ও শিয়ালকোটে নুরুল আমীন
পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি নূরুল আমিন লাহোরে জামায়াতে ইসলামীর প্রধান মওলানা মওদুদীর সঙ্গে জামাতে ইসলামীর সদর দপ্তর অফিসে দীর্ঘ বৈঠকে মিলিত হন। জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির মিয়া তোফায়েল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। মওদুদীর সঙ্গে বৈঠক শেষে নূরুল আমিন ঘোষণা করেন, দেশের সবক‘টি দক্ষিণপন্থী দল মৈত্রী জোট গঠনে সম্মত হয়েছে। জোট গঠনের ব্যাপারে শীঘ্রই সম্মিলিত ঘোষণা দেয়া হবে। জোট গঠনের বিষয় নিয়ে কাউন্সিল মুসলিম লীগ প্রেসিডেন্ট মিয়া মমতাজ দৌলতানার সঙ্গেও দুই দফা আলোচনা করেন।
পরে পিপিআই সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নুরুল আমীন বলেন তার জোট সংখ্যাগরিষ্ঠ কিনা তা বুঝতে উপনির্বাচন শেষ হলে বুঝা যাবে তখন যে দল সংখ্যাগরিষ্ঠ সে দলই ক্ষমতা পাবে। জাতীয় সরকার গঠন বিষয়ে তিনি নেতিবাচক জবাব দেন। তিনি দেশের উভয় অংশের পি ডি পি র মতবিরোধ অস্বীকার করে বলেন দু অংশের মেনিফেসটো একই (পশ্চিম পিডিপি দীর্ঘদিন নিষ্ক্রিয়)।
মওলানা মওদুদী বৈঠকে তাহার লিখা তাফহিজুল কোরআনের এক কপি নুরুল আমীনকে উপহার দেন।
এর আগে শিয়ালকোটে এক জনসভায় নুরুল আমীন বলেন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর ই পূর্ব পাকিস্তানে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার প্রধান উপায়। ক্ষমতা হস্তান্তর হলেই দুষ্কৃতিকারীদের ধ্বংসাত্মক তৎপরতা বন্ধ হবে। ক্ষমতা হস্তান্তর হলে জনপ্রতিনিধিরা শক্তিশালী হবেন এবং আরও ভাল ভাবে দুষ্কৃতিকারী দমন করতে পারবেন। তিনি বলেন একটি শাসনন্তান্ত্রিক সরকার গঠনে বিলম্ব ঘটানোর জন্য ভারত তার এজেন্ট দের মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তানে বিশৃঙ্খলা ঘটিয়ে যাচ্ছে।