কুষ্টিয়ায় দুবলাে চারায় ২০০ জন পাকসেনা। ও রাজাকার মুক্তিসেনাদের হাতে খতম ৩৫ জন রাজাকারের আত্মসমর্পণ
(নিজস্ব সংবাদদাতা) দুবলােচারার জনাব সালিম চেয়ারম্যান ও জোবেদ আলী (শিক্ষক) মুজিবনগরে পেীছে আমাদের সাংবাদিককে জানান যে গতমাসের প্রথম সপ্তাহে আমাদের গ্রামে মুক্তিবাহিনী ও খান সেনাদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। ৯৪ জন পাক সেনা ও শতাধিক ম্যালেসিয়া ও রাজাকার খতম হয়েছে। ৩৫ জন রাজাকার মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। গত ২৩শে সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়ার পাক মদনা গ্রামে মুক্তিসেনাদের সাথে পাক সেনাদের গুলি বিনিময়। হয়। বীর মুক্তিসেনারা ১৩ জন পাক সেনা খতম করে মুক্তি বাহিনীর বীর যােদ্ধা প্রাক্তন ছাত্রনেতা পাকসেনা হতে রাইফেল উদ্ধার করতে সমর্থন হয়। গতমাসে পাকসেনার কুষ্টিয়ার শান্তিডাঙ্গা ও যশােরের সেখ পাড়া ও বসন্তপুর গ্রামে বর্বর হামলা। চালায় এবং গ্রামগুলি পুড়িয়ে দেয়, নিরস্ত্র গ্রামবাসীকে গুলি করে হত্যা করে।
দাবানল ॥ ১ : ৩ ॥ ১০ অক্টোবর ১৯৭১
দালালীর পুরস্কার
মুজিবনগর, ৭ই অক্টোবর—আজ বিশেষ নির্ভরযােগ্য সূত্রে পাওয়া সংবাদে জানা যায় যে, গত মাসের শেষাশেষি মুক্তিফৌজের গেরিলারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য ড: সাজ্জাদ হােসেনকে খতম করেছে। গত ২৫শে মার্চ বাংলাদেশে স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হওয়ার পর পাক জঙ্গীশাহী তাদের পদলেহী দালাল ড: সাজ্জাদ হােসেনকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে নিয়ােগ করে। ড: হােসেন ইতিপূৰ্ব্বে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন। ২৫শে মার্চের পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগ্রামী ছাত্ররা তাদের কুখ্যাত উপাচার্যকে বিতাড়িত করেন। অতঃপর জেনারেল টিক্কা খান ড: সাজ্জাদ হােসেনকে “ছাত্র শূন্য” ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে নিয়ােগ করেন।
উপাচার্য পদে যােগ দেওয়ার আগে ড: সাজ্জাদ হােসেন তাঁর “প্রভুদের গুণ-কীৰ্ত্তন করার। উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দেশে সফর করেন।
বাংলাদেশ (১) ॥ ১: ১৬ ॥ ১১ অক্টোবর ১৯৭১
সূত্র : গণমাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ – খন্ড – ০৪