You dont have javascript enabled! Please enable it!

রাজাকার নিধন

বাংলাদেশের দখলীকৃত এলাকায় দলে দলে রাজাকার মুক্তি বাহিনীর হাতে নিধন হইতেছে। বস্তুত: গেরিলা যুদ্ধে সর্বাগ্রে কামানের খােরাক হইবার জন্যই পাক হানাদারেরা ইহাদের প্রশিক্ষণ দিয়াছে। কুমিল্লা ও নােয়াখালিতে গত সপ্তাহে ১০০ জন রাজাকার মুক্তিযােদ্ধাদের হাতে খতম হওয়ার খবর পাওয়া গিয়াছে। গত ২৩শে আগস্ট কুমিল্লা জেলার কোম্পানিগঞ্জের বসুরহাট গ্রামে একটি রাজাকার  ক্যাম্পে অতর্কিতে হানা দিয়া গেরিলা মুক্তি যােদ্ধারা ৪৫ জন রাজাকারকে খতম করিয়াছে। একই দিনে। ননায়াখালির আলাল বাজারে গেরিলারা ২০ জন রাজাকারকে হত্যা করিয়াছে।

মুক্তিযুদ্ধ ॥ ১ : ৯ ॥ ৪ সেপ্টেম্বর ১৯৭১

শান্তি কমিটি মহাবিপদে

পাক-সামরিক বাহিনীর সাহায্যকারী তথাকথিত শান্তি কমিটির উপর পলাতক পাক-সেনাদের ধরিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব অর্পিত হওয়ায় এখন উভয় পক্ষই মহা বে-কায়দায় পড়ে গেছে। কারণ, তথাকথিত শান্তিকমিটির লােকেরা তাদের নিজ নিজ এলাকা থেকে পলায়নকারী পাকসৈন্য এবং তাদের অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করে দিতে না পারলে সংশ্লিষ্ট এলাকার উর্ধতন সামরিক অফিসার ওদেরকে কিছুতেই রেহাই দিবে না। অপর দিকে পাক সেনারা ভাবছে, শান্তি কমিটির লােকগুলাে দেখছি বড় আপদ হয়ে উঠেছে। তাই এখন অনেকস্থলে পলায়নকারী পাক সেনারাই শান্তি কমিটির লােকজন ধরে ধরে হত্যা করছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।

জন্মভূমি ॥ ১ : ৬ ॥ ৬ সেপ্টেম্বর ১৯৭১

দুইজন রাজাকার ধৃত

রৌমারী ॥ ৭ই সেপ্টেম্বর : মুক্তিফৌজের পরিবেশিত সংবাদে প্রকাশ গত ২রা সেপ্টেম্বর পাক সরকারের রাজাকার বাহিনীর দুইজন লােককে ধৃত করা হল। তাদের কাছ থেকে অনেক মূল্যবান তথ্য সংগৃহীত হয়েছে।

অগ্রদূত ॥ ১: ২ ॥ ৮ সেপ্টেম্বর ১৯৭১।

সূত্র : গণমাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ – খন্ড – ০৪

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!