শান্তি কমিটির সদস্য ফরিদ কারির মেয়েকেও পাক দস্যুরা রেহাই দেয়নি
(জয়বাংলা প্রতিনিধি) গত ৩রা জুলাই রাজনগর থানার দত্তগ্রামের ফরিদ কারি নামক জনৈক মুসলীমলীগ সমর্থক ও তথাকথিত থানা শান্তি কমিটির সদস্যের বাড়ীতে পাকসেনারা হানা দিয়ে তার দুজন যুবতী মেয়েকে ধরে নিয়ে যায় এবং যাবার সময় ৩১টা হাঁসমুরগীও নিয়ে যায়। রাজনগর থানার আশ্রকাপন নিবাসী শান্তি কমিটীর সদস্য আবদুল ওয়াদুদ চৌধুরীর বাড়ীতে পাক সেনারা হানা দিয়ে তার মােটর সাইকেলসহ স্ত্রীকে নিয়ে যায়। মৌলভীবাজার ক্যাম্পে ৪ দিন আটক রাখার পর উক্ত মহিলাকে পাষন্ডরা মুক্তি দিয়েছে। গত ২৯শে জুন মৌলভীবাজার মহকুমা শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ও কাউন্সিল মুসলীমলীগের অন্যতম নেতা মিসির উল্লার সুন্দরী যুবতী মেয়েকে পাক বাহিনীর সৈন্যরা ধরে নিয়ে নির্মমভাবে পাশবিক অত্যাচার করে। পরে মেয়েটি কলংকের গ্লানি হতে অব্যাহতি লাভের জন্য আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে।
জয় বাংলা (৩) ॥ ১৪শ সংখ্যা ॥ ১৭ জুলাই ১৯৭১
৫১ জনের প্রাণদন্ড
কুমিল্লা জেলার চাঁদপুরে বাংলাদেশ মুক্তিফৌজ গণআদালতে এপর্যন্ত ৫১ জনকে প্রাণদন্ডে দন্ডিত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ইয়াহিয়া সৈন্যদের দালাল ২০ জন, ২৫ জন ডাকাত এবং একজন পাক গুপ্তচর রয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশ না মানার অপরাধেও ৫ জনের মৃত্যুদন্ড হয়।
জয়বাংলা (১) ॥ ১ : ১৪ ১৭ জুলাই ১৯৯১