You dont have javascript enabled! Please enable it! নারী ধর্ষণ রৌমারী - আমি বাংলাদেশের মেয়ে আমাকে বাঁচান! - সংগ্রামের নোটবুক

নারী ধর্ষণ রৌমারী

১০ই সেপ্টেম্বর অধিকৃত অঞ্চল থেকে প্রাপ্ত খবরে প্রকাশ উলিপুর থানার বনগ্রাম অঞ্চল হতে গত ৮ই সেপ্টেম্বর রাত্রিতে কিছু সংখ্যক পাক সেনা এগার জন মহিলাকে বলপূর্বক হরণ করত: ধর্ষণ করে।

অগ্রদূত ॥ ১ : ৩ ॥ ১৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭১

আমি বাংলাদেশের মেয়ে আমাকে বাঁচান!

(ষ্টাফ রিপাের্টার)। “আমি বাংলাদেশের মেয়ে। দস্যুরা আমায় জোর করে এখানে নিয়ে এসেছে। কোন হৃদয়বান বাঙালী থাকলে আমাকে বাঁচান!” ছােট্ট এক টুকরা চিরকুটের মাধ্যমে করাচীতে বন্দিনী অসহায় সাঈদা আখতার। এই আকুল আবেদন জানিয়েছেন করাচী প্রবাসী যে কোন বাঙালী ভাইকে রজব আলী নামক কোন এক ভিক্ষুকের সহযােগিতায় সাঈদার এই চিঠিখানি দু’দিন বাদে করাচীর মুসা কলােনীর বাঙালীদের হাতে এসে পৌছে। বাঙালী বােনকে নরপিশাচদের কবল থেকে উদ্ধার করার জন্য কলােনীর আওয়ামী লীগ কর্মী ফেরদৌস এবং ছাত্রলীগ নেতা গােলাম রহমান ছুটে গেলেন উত্তর নাজমাবাদের একটি বাড়ীতে—যে বাড়ীর ঠিকানা দেওয়া ছিল চিঠি খানায়। কিন্তু না, সাঈদাকে পাওয়া গেল না সেখানে। সে তবে কোথায়? কে জানে, হয়তােবা বাংলা দেশের হাজারাে মা-বােনের যে দশা হয়েছে, তারও তাই, নয়তাে আর কিছু। সাঈদা আখতার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রােকেয়া হলের প্রথমবর্ষ ইংরেজী অনার্সের ছাত্রী। মার্চ মাসে খানসেনারা তাকে অপহরণ করে এবং জনৈক লে: কর্ণেল এপ্রিল মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে তাকে করাচী নিয়ে যায় । প্রসঙ্গত: উল্লেখযােগ্য যে এ কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। ইয়াহিয়ার দস্যু বাহিনী এ ধরণের অসংখ্য পাপাচারে লিপ্ত ।

সাপ্তাহিক বাংলা ॥ ১:১ ॥ ১৬ সেপ্টেম্বর ১৯৭১

সূত্র : গণমাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ – খন্ড – ০৪