পাক দূতাবাসে বাঙ্গালী কর্মচারীর উপর নির্মম অত্যাচার
৩১শে আগষ্ট, ভারত। নয়াদিল্লী (ভারতীয় প্রতিনিধি-মারফৎ) সহ পাক হাইকমিশনের একজন বাঙ্গালী কর্মচারী জনাব গােলাম মােস্তাফাকে বেদম মারধর করা হয়। ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, জনাব গােলাম মােস্তাফা হাই কমিশনের অনুমতিক্রমে অত্যাবশ্যকীয় জিনিষপত্র কেনার জন্য বাইরে যাবার উদ্যোগ করছিলেন; তখন তাকে বাধা দিয়ে বলা হয়, বাইরে যাবার অনুমতি বাতিল করা হয়েছে। তখন মি: মােস্তাফা অস্থায়ী হাই কমিশনার মি: আবদুল সাত্তারের সঙ্গে দেখা করেন এবং অনুমতি প্রার্থনা করেন। তখন আবদুল সাত্তার সাহেব বাঙালীর প্রতি বিদ্বেষ পরায়ণ হয়ে অহেতুক রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে জনাব গােলাম মােস্তাফাকে শায়েস্তা করবার জন্য গােয়েন্দা অফিসার আমেদ জাবেদ শাহকে হুকুম দেন। তখন বর্বর আমেদ জাবেদ এবং সহকারী মহম্মদ ইয়াসিস ঝাপিয়ে পড়ে জনাব গােলাম মােস্তাফার উপর। তিনি যতক্ষণ না বেহুশ হয়ে পড়েন ততক্ষণ পর্যন্ত এই হিংস্র পশুর দল অত্যাচার চালিয়ে যায়। জনাব গােলাম মােস্তাফা দূতাবাসের ডিসপেন্সারীর একজন কম্পাউন্ডার। এই দূতাবাসে ২২ জন বাঙালী কর্মচারী আছেন। এঁরা পরিবারবর্গ নিয়ে দূতাবাসের মধ্যে একরকম বন্দী জীবন কাটাচ্ছে। তারা কয়েক মাস পর্যন্ত বেতন পাচ্ছেন না। এদের অবস্থা বর্তমানে শােচনীয় হয়ে উঠেছে।
বিপ্লবী বাংলাদেশে ৪ ১: ৪ ॥ ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭১
রংপুর ও দিনাজপুরে গণহত্যা
মুজিবনগর, ৩০শে আগষ্টগত সপ্তাহে রংপুর ও দিনাজপুরে মুক্তিযােদ্ধাদের প্রচন্ড দ্বিমুখী আক্রমণে। বহু খানসেনা সহ রাজাকারদের হত্যা করা হয়েছে। অপর এক আক্রমণে মুক্তিবাহিনী রংপুরের পাঁচগড়ে ২০ জন খানসেনাকে হত্যা করেছে।
জন্মভূমি ॥ ১: ৭ ৬ সেপ্টেম্বর ১৯৭১
সূত্র : গণমাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ – খন্ড – ০৪