৭ নভেম্বর ১৯৭১ঃ যুদ্ধ ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি
পরশুরাম দখল
ভারতীয় বাহিনীর সমর্থন নিয়ে মুক্তি বাহিনী পরশুরাম থানার প্রায় পুরোটাই দখল করে নিয়েছে। পাক বাহিনী এলাকাটি পুনঃ দখলের এখনও প্রচেষ্টা নেয়নি।
চাষারায় গুলিতে এমপিএ নিহত
উপনির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ থেকে নির্বাচিত এমপিএ ও কাইউম মুসলিম লীগ নেতা সুলতান উদ্দিন খান মুক্তার চাষারায় গুলিতে নিহত হয়েছেন। তার রিকশার সহযাত্রী স্থানীয় শান্তি কমিটি সদস্য আমির হোসেনও নিহত হয়েছেন। তার অকাল মৃত্যুতে কাইউম মুসলিম লীগ প্রাদেশিক সভাপতি খান আব্দুস সবুর গভীর শোক প্রকাশ করেন।
নারায়ণগঞ্জ এর নবীগঞ্জে রাত নয়টার দিকে সন্ত্রাসীর গুলীতে শান্তি কমিটির এক নেতা সহ ৩ জন নিহত হয়েছে আহত হয়েছে আরও কয়েকজন।
নারায়ণগঞ্জ এর গোপনগরে রাত ৮ টার দিকে সন্ত্রাসীর গুলীতে শান্তি কমিটির এক নেতা সহ ৬ জন নিহত হয়েছে আহত হয়েছে আরও ৩ জন। আহতদের প্রথমে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে পরে ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়। এর আগে তারা আফিল উদ্দিনের বাড়ীতে আগুন লাগিয়ে দেয়। আগুনে সবাই এদিক ওদিক ছুটাছুটি শুরু করলেই গুলি করা হয়। কয়েকদিন আগে গোপনগরে আরেক হত্যা প্রচেষ্টায় তিনি বেচে যান।
রাজাকার সংবাদ
দিনাজপুরের পশ্চিমে মহেশপুরে রাজাকারদের আল শামস শাখা একদল ভারতীয় চরকে চ্যালেঞ্জ করে। তারা পাশের গ্রামে অবস্থান নিয়ে ছিল। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষে গোলাগুলি শুরু হয়। পরে আল শামশের দল তাদের পিছন থেকেও হামলা করে। হামলায় ৫ ভারতীয় চর নিহত হয় ৩ জন আহত হয় বাকীরা পালিয়ে যায়। আল শামস এখানে কিছু অস্র আটক করে। গোলাগুলিতে দুই রাজাকার আহত হয়।
জামালপুরের সরিষাবাড়ি ও ইসলামপুরে আল বদর এর একটি দল ভারতীয় চরদের হাত থেকে দুটি ব্রিজ ধ্বংস প্রতিহত করেছে। যশোরের সফদর পুরে রেল লাইন উৎপাটনের সময় রাজাকারদের গুলীতে ২ জন ভারতীয় চর নিহত হয়েছে।
বরাবরের মতই ১৯ টি গ্রামে ভারতীয় গোলাবর্ষণ অব্যাহত আছে। এতে নিহত হয়েছে জন। নতুন করে বোমাবর্ষণ শুরু হয়েছে দর্শনা ও প্রাগপুরে। কসবার গুরুহিত যশোরের চকডাঙ্গি, খানজাহানপুর, মন্দ্রায়।
কয়েকদিন আগে অয়েল ট্যাংকার মাহতাব জাভেদ এর বোমা বিস্ফোরণ ঘটনায় আহত আরও তিন জন মারা গিয়েছে।