You dont have javascript enabled! Please enable it!

“শত্রু নিশ্চিহ্ন না হওয়া বাংলার প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত বাংলার জনগণ যুদ্ধ চালিয়ে যাবে” বাংলার প্রধানমন্ত্রী – জনাব তাজউদ্দীন আহম্মদ

 স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে গত রাত্রে প্রধানমন্ত্রী জনাব তাজউদ্দীন আহম্মদ বলেন, বাংলাদেশের ব্যাপক গণহত্যায় মুসলীম জাহানের নীরবতা বড়ই বেদনাদায়ক। তিনি বলেন, ইয়াহিয়া। খান বাংলাদেশে ইসলামের জন্য লড়াই করছে একথা ধারণা করা মারাত্মক ভুল। তিনি এই গণহত্যার জন্য বৃহৎ শক্তিবর্গ গুলিকে দায়ী করেন। এবং বর্তমান পাক সরকারকে কোন প্রকার সাহায্য না দেওয়ার জন্য আবেদন করেন। তিনি বলেন বাংলাদেশের নিরীহ মানুষের রক্তের দাগ ইয়াহিয়ার হাতে ও যেমন লেগেছে তেমনি তাদের হাতকেও কলুষিত করবে।  বাংলার অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের মুক্তি ও তার নিরাপত্তা বিধানের জন্য তিনি বৃহৎশক্তি বর্গের নিকট আবেদন জানান। তিনি বলেন আমাদের মুক্তিফৌজ স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করছেন আর পাক ফৌজ যুদ্ধ করছে উপনিবেশ বাদের জন্য যারা মাতৃভূমির জন্য লড়াই করছে তাদের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং যুবকদের মুক্তিফৌজে যােগদানের আহ্বান জানান। বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ স্থান করে নিয়েছে এবং সে স্থান সাড়ে সাত কোটি মানুষের ইচ্ছায় প্রতিষ্ঠিত থাকবে।

বাংলাদেশ (২) # ১: ২ ॥ ১৫ জুন ১৯৭১

খবরা খবর

ক) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট জনাব সৈয়দ নজরুল ইসলাম …

যারা হানাদার বাহিনীর আঘাতে গৃহহারা হয়ে অন্যত্র আশ্রয় গ্রহণ করেছেন তাদের স্ব স্ব  ভিটামাটিতে স-সম্মানে প্রতিষ্ঠিত করা হবে।

খ] বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে মিঃ সামাদ গিয়েছিলেন বুদাপেষ্ট শান্তি সম্মেলনে। তিনি একমাস  যাবৎ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্বন্ধে অবহিত করান, সম্প্রতি তিনি মুজিবনগরে ফিরে এসেছেন। আশা করা যাচ্ছে কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি তার সফরের বিস্তারিত বিবরণ। বাংলাদেশ সরকারের নিকট পেশ করবেন। বুদাপেষ্টে বাংলাদেশের সংগ্রামী মানুষকে শান্তি পুরস্কার প্রদান করায় তিনি গভীর সন্তোষ প্রকাশ করেন। গ] ডক্টর জন রােডে পাকিস্তান সরকারকে যে কোন প্রকার সাহায্য দানের বিরােধিতা করে বলেন। যে এর দ্বারা বাংলাদেশের গণহত্যা ও তাদের দুঃখ দুর্দশার অংশীদার হতে হবে। বৃটিশ পার্লামেন্টের সদস্য মিঃ পিটারসন বলেন, “আমাদের সাহায্য দ্রব্যের কোনটিই পাকিস্তান খুনের কাজে ব্যবহার করতে পারবে না। খুনী পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে বৃটেনের আর কোন রূপ বন্ধুত্ব থাকতে পারে না। 

ঘ] পূর্ব বাংলার পরিস্থিতি স্বচক্ষে দেখবার জন্য একটি বৃটিশ প্রতিনিধি দল শীঘ্রই বাংলাদেশে সফরে আসবেন।

ঙ) দখলকৃত এলাকায় পাক প্রশাসন যন্ত্র এখনাে পর্যন্ত সম্পূর্ণ অচল। সঙ্গীন উচিয়ে কিছু কিছু  অফিস আদালত ও স্কুল কলেজের দরজা খােলা হয়েছে বটে, কিন্তু সেখানে উপস্থিতির সংখ্যা শতকরা  বিশজন ইহার মধ্যে ১০ জন অবাঙ্গালী। দোকান পাট, বাজার ঘাট ও মিল কলকারখানা এক প্রকার বন্ধ যাতায়াত ব্যবস্থা … অস্পষ্ট]

বাংলাদেশ (২) | ১: ২ x ১৫ জুন ১৯৭১

সূত্র : গণমাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ – খন্ড – ০৩

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!