পাক দালাল হুসিয়ার
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জনাব তাজুদ্দীন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র হইতে বলেন যাহারা বাংলাদেশের শত্রুতা করিতেছে তাহাদের পরিণাম খুবই খারাপ। তিনি বলেন যে, সে সমস্ত দালালদের রেহাই দেওয়া হইবে না।
বঙ্গ বাণী ॥ ১:১ ২৩ মে ১৯৭১
পুলিশের কর্তব্য সম্পর্কে আই,জি পি
বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলার বর্তমান মুক্তিযুদ্ধে সর্বাত্মকভাবে। ঝাপিয়ে পড়ার জন্য পুলিশের লােকদের প্রতি এক আবেদন জানিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে পুলিশ প্রধান। রাজারবাগ, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, কুমিল্লা ও অন্যান্য জেলায় ইয়াহিয়া খানের সশস্ত্র বাহিনী যে ভাবে মেশিনগান চালিয়ে বর্বরের ন্যায় পুলিশের লােকদের হত্যা করেছে তার উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, হাল্কা অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনী মেশিনগান, ট্যাঙ্ক ও বােমার মুখে যে বীরত্ব দেখিয়েছেন তার কোন তুলনা হয় না! তাদের এ ত্যাগ ও অবদান বাংলার স্বাধীনতার ইতিহাসে সােনার অক্ষরে লেখা থাকবে। বর্বর পাক-ফৌজের অমানুষিক অত্যাচারের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য যে সব পুলিশ কর্মচারী বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আশ্রয় নিয়েছে তাদেরকে অবিলম্বে মুক্তি ফৌজ যােগদানের জন্য তিনি অনুরােধ জানান। আর যে সমস্ত পুলিশ কর্মচারী সীমান্তের ওপারে চলে গেছেন ৯নং সার্কাস এ্যাভিন, কলকাতা, (বাংলাদেশ মিশন)-এ যােগাযােগ স্থাপনের পরামর্শ দিয়েছেন।
জয়বাংলা ॥ ১: ৩ ॥ ২৬ মে ১৯৭১
রাজনৈতিক সমাধানের প্রশ্নে সৈয়দ নজরুলের চার দফা
স্বাধীন বাংলা দেশের উপরাষ্ট্রপতি জনাব সৈয়দ নজরুল ইসলাম নিম্নোক্ত শর্তগুলি আরােপ করে। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে ভাষণ দান করেন
১। স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবর রহমান ও নির্বাচিত জন প্রতিনিধিদের বিনাশর্তে মুক্তি দিতে হবে।
২। বাংলা দেশের মাটি থেকে পাকিস্তানী সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। ৩। স্বাধীন বাংলা দেশ সরকারকে স্বীকৃতি দিতে হবে।
৪। আড়াই মাস ধরে পাকিস্তানী সেনা বাহিনীর বর্ব্বরােচিত আক্রমণের ফলে বাংলা দেশের জন সাধারণের যে ক্ষতি হয়েছে তার ক্ষতি পূরণ দিতে হবে।
স্বাধীন বাংলা (২) ১৯৭১
সূত্র : গণমাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ – খন্ড – ০৩