রক্তদ্বারা বঙ্গবন্ধুর মুক্তি অর্জিত হবে। —খােন্দকার মুশতাক
ভারত বাংলাদেশ সরকারকে স্বীকৃতি প্রদান করায় গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বাংলাদেশের। পররাষ্ট্র মন্ত্রী খােন্দকার মুশতাক আহমদ আশা প্রকাশ করেন যে, বাংলাদেশ ও ভারতের মৈত্রী চিরস্থায়ী হবে এবং শান্তিপূর্ণ সহ-অবস্থান ও পঞ্চশীল আদর্শের এক বিরাট স্তম্ভ হয়ে থাকবে। | পররাষ্ট্র মন্ত্রী ওয়াশিংটন ও পিকিংয়ের ভূমিকার সমালােচনা করেন এবং সােভিয়েট সরকারের নীতির প্রশংসা করেন। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যে কোন মূল্যে মুক্ত করতে হবে। রক্তদ্বারা যদি স্বাধীনতা অর্জিত হতে পারে, তবে রক্ত দ্বারা বঙ্গবন্ধুরও মুক্তি অর্জিত হবে।
জয় বাংলা (১) ॥ ১ ৪ ৩১ ॥ ১০ ডিসেম্বর ১৯৭১
সংকীর্ণ গােপনীয়তার আশ্রয় নিয়ে জঙ্গীশাহী বঙ্গবন্ধুর যে বিচার করেছে তাতে আন্তর্জাতিক জুরিষ্ট কমিশন গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেছেন দীর্ঘকাল ধরে গােপনীয়তার ফলে ভয় এবং আশঙ্কা ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে। কমিশন পাক সামরিক জান্তার কাছে এক তারবার্তা পাঠিয়েছেন। তারবার্তায় সামরিক আদালতে মুজিবর রহমানের বিচার সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্ন রেখেছেন এবং এর উত্তর পাকিস্তান সামরিক প্রশাসনের কাছে দাবী করছেন। বঙ্গবন্ধুকে আত্মপক্ষ সমর্থন এবং প্রয়ােজনে সাক্ষীদের জিজ্ঞাসা করে দেখবার সুযােগ দেয়া হয়েছে কিনা? এ গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটি ছাড়াও জুরিষ্ট কমিশন যে প্রশ্ন করেছেন তার মধ্যে উল্লেখযােগ্য হল। বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে কি কি অভিযােগ আনা হয়েছে। কোথায় তার বিচার হচ্ছে? শুনানীর তারিখগুলাে এবং এর অগ্রগতি কতদূর হয়েছে। বিচারলয়ের সদস্য কতজন এবং তাদের নামের তালিকা, বিচার শেষ হয়েছে কিনা? শেষ হয়ে থাকলে কি রায় দেয়া হয়েছে।
অভিযান ॥ ১: ৩ ১০ ডিসেম্বর ১৯৭১
সূত্র : গণমাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ – খন্ড – ০৩