৬ নভেম্বর ১৯৭১ঃ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও যুদ্ধ
ছবি পাকিস্তান সরকারের প্রোপাগান্ডা ডকুমেন্টারী কুমিল্লা সকালে মতিঝিলের পি আই এ গুদামে বোমা বিস্ফোরণ হয়। এতে কোন হতাহত হয়নি। বিকেলে শাহবাগ বিপণী বিতানের রিভলি নামে এক দোকানে জোরপূর্বক পণ্য নেয়ার সময় তর্কাতর্কির জেরে সশস্র ব্যক্তিদের গুলিতে দোকান কর্মচারী নিহত হয়। রাজশাহীর ১০ মাইল দক্ষিনে ভবানিপুরে চরদের গোপন স্থাপনায় হানা দিয়ে রাজাকাররা ১৪০০ রাউন্ড গুলি সহ ২ টি স্টেনগান ৭টি রাইফেল ৩৫টি হাতবোমা ১৩০ পাউন্ড বিস্ফোরক আটক করে। চাদপুরের গুলশিয়া গ্রামে ভারতীয় চরদের একটি এম্বুশ করার সময় রাজাকার আল শামস গন তাদের উপর হামলা করে। হামলায় ৫ জন ভারতীয় চর নিহত হয়। ৩৭৫ রাউন্ড গুলি, ১১টি ম্যাগাজিন সহ ২টি স্টেনগান ৩টি রাইফেল ৬০টি হাতবোমা আটক করে।
প্রথমবারের মত সাঁজোয়া বাহিনী ব্যাবহার করে ভারতীয় সেনাবাহিনী দিনাজপুরে বান্তারি সীমান্ত ফাঁড়ি বরাবর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর উপর হামলা করে। তবে এ হামলা সেনাবাহিনী প্রতিহত করে। বিদ্রোহী সমেত হামলাকারী বাহিনীর সদস্য ছিল ৪০০ এর উপরে। পাকিস্তানী বাহিনীর পাল্টা হামলায় ভারতীয় মিশ্র বাহিনীর ৪৫ জন নিহত হয় আহত হয় ৮০ জন। পাকিস্তান পক্ষে ৩ জন আহত হয়। সিলেটের তাহিরপু্র, কোম্পানিগঞ্জ, রাধানগর ভারতীয় চরদের কয়েকটি হামলা পাকিস্তান সেনাবাহিনী প্রতিহত করেছে। তাহিরপুরে ৪ শতাধিক এবং কোম্পানীগঞ্জ ও রাধানগরে ৩ শতাধিক সৈন্য হামলায় অংশ নেয়। এখানে পাক সেনাবাহিনীর হাতে ২৮ জন চর নিহত হয়। বিলনিয়ায় ৬ গ্রামে মাঝারী কামানের গোলাবর্ষণ করেছে ভারতীয় বাহিনী। এ হামলায় ৩ জন নিহত ৮ জন আহত হয়।