You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.01.10 | 10TH JANUARY 1971 - সংগ্রামের নোটবুক

10TH JANUARY 1971

পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্টো পেশোয়ার ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় চক আরবার রোডের পাশে অনুষ্ঠিত এক জনসভায় পুনরায় দৃঢ়তার সাথে উল্লেখ করেন যে, তাঁর দল পাকিস্তানের সামগ্রিক সংহতির কথা মনে রেখে শাসনতন্ত্র প্রণয়নের জন্য সর্বাধিক সহযোগিতা প্রদান করবে। উক্ত জনসভায় বক্তৃতাদানকালে তিনি আরো বলেন, শাসনতন্ত্র প্রণয়ন একটি সূক্ষ্ম বিষয়, তাই তিনি একে রাস্তায় টেনে আনতে চান না। শাসনতন্ত্র প্রণয়ণের কাজে পূর্ণ মনোযোগ নিবদ্ধ করবো বলে তিনি আশ্বাস প্রদান করেন।
বঙ্গবন্ধু আজ পটুয়াখালীতে ঘোষণা করেন যে, বাংলাদেশের ন্যায়সঙ্গত দাবি পূরণ ও তাদের নিজেদের ভাগ্য ও সম্পদ নিয়ন্ত্রণের অধিকার আর ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব না, কারণ জনগণ নির্বাচনের মাধ্যমেই এ ব্যাপারে তাদের রায় দিয়েছে। গণবিরোধী শক্তি নির্বাচনের ফলাফলে বিভ্রান্ত হয়ে পড়লেও তাদের ঐতিহ্য অনুযায়ী আবার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে বলে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।

এছাড়া তাঁর জীবনের উপর সাম্প্রতিক হামলার উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণশত্রুরা পরাজিত হয়ে বাংলার মানুষের কণ্ঠরোধের জন্য অন্য পন্থা অবলম্বন করেছে। বঙ্গবন্ধু নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিরাট সাফল্যের সাথেই পাবনার দলীয় নবনির্বাচিত প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য, খুলনায় একজন আওয়ামী লীগ কর্মী হত্যারও উল্লেখ করেন।বঙ্গবন্ধুর বর্তমান উপকূল এলাকায় সফরকালে আরো কয়েকজন নেতা তাঁর সাথে রয়েছেন। তাঁরা হলেন: জাতীয় পরিষদের নবনির্বাচিত সদস্য মোহাম্মদ মোহসীন, নূরুল ইসলাম মঞ্জু ও কোরবান আলী এবং নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোস্তফা সারওয়ার। জাতীয় পরিষদের নবনির্বাচিত সদস্য এবং চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ আজিজ শেষরাতে করোনারী থ্রমবোসিস রোগে মাত্র ৫০ বছর বয়সে প্রাণত্যাগ করেন। এ দিন জনাব আজিজ অত্যন্ত কর্মব্যস্ত ছিলেন। তিনি দুইটি জনসভা ও তাঁর সম্মানার্থে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। বিকাল পাঁচটায় বহদ্দর হাটের জনসভায় বক্তৃতাদানের পর নানুপুরের জনসভায় বক্তৃতা দিতে যান এবং সেখানে রাত এগারোটা পর্যন্ত অবস্থান করেন।
পাকিস্তান জামাতে ইসলামীর আমীর মওলানা মওদুদী দ্ব্যর্থহীনভাবে বলেন যে, দলের সদস্যপদ বা আমীরের পদ থেকে পদত্যাগের কোন ইচ্ছা তাঁর নেই।
জাতীয় লীগ দ্বিধাবিভক্ত ।