You dont have javascript enabled! Please enable it!

২ নভেম্বর ১৯৭১ঃ যুদ্ধ পরিস্থতি

কসবার কাইমপুর ( মন্দভাগ সংলগ্ন) আক্রমন
ভারতের পদাতিক এবং গোলন্দাজ সমর্থন পুষ্ট ভারতীয় চররা পূর্ব পাকিস্তানের একাংশ দখলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে তবে প্রতিবারই তারা ক্ষয়ক্ষতি স্বীকার করে পশ্চাদপসরণ করতে বাধ্য হয়েছে। কসবার কাইমপুরে প্রবেশের সময় তাদের ১৮ জন নিহত হয়েছে ২০ জন আহত হয়েছে। এখানে থেমে থেমে ৪ ঘণ্টা গোলাবর্ষণ করা হয়। এ আক্রমনে চররা এক কোম্পানি শক্তি নিয়ে আক্রমন চালায়।
গোয়াইন ঘাট
সিলেটের গোয়াইন ঘাটেও অনুরূপ আক্রমন চালানো হয় সেখানে ১৪ জন ভারতীয় চর নিহত হয় ৩০ জন আহত হয়।
ভারতীয় চরদের দেশের অভ্যন্তরে হামলা
চট্টগ্রামের কাজীর দেউরি, জামাল খান এলাকায় তিনটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। ৪ জন সশস্র লোক পুলিশের সার্জেন্ট আতিকের প্রতি গুলি ছুড়ে। আতিক পরে হাসপাতালে মারা যায়। হামলাকারীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় ফৌজদারহাট ক্যাডেটের এক ইন্সট্রাকটরের গাড়ীর সামনে এসে পরে। তিনি তাদের গতিবিধি দেখেছেন।
আল শামস বাহিনীর তৎপরতা
আল শামস বাহিনী তিনটি অপারেশনে কয়েকজনকে হত্যা করে এবং অস্র সস্র আটক করে। কিশোরগঞ্জের দক্ষিন পূর্বে তারা চরদের এক আস্তানায় আক্রমন করে। এখানে গোলাগুলিতে ৩ চর নিহত হয়। শামশের এক দল হাটহাজারী থানার এক বাড়ীতে হানা দিয়ে কিছু আপত্তিকর বই পত্র উদ্ধার করে বাড়ীর মালিককে গ্রেফতার করে। ঝিনাইদহের আর পাড়ায় আরেক সংঘর্ষে শামসের বাহিনী ৪জন চরকে হত্যা করে। সেখানে তারা প্রচুর অস্র আটক করে।
এদিন প্রদেশে মোট ২০টি গ্রামে আক্রমন চালানো হয়। এ আক্রমনে ১৪ গ্রামবাসী নিহত ৫ জন আহত হয়েছে। গ্রাম গুলি হল পশ্চিম সীমান্তের ভোমরা, বেনাপোল, ছুটটিপুর, কাকডাঙ্গা, জামালপুর, চকচণ্ডী, উত্তর সীমান্তের অমরখানা, বড়খাতা, মানর, হিলি, অমৃতবাজার, মোগলহাট পূর্ব সীমান্তের কুরমাচর, ধলাই, সালদা নদী, মুরচাতলী, নয়নপুর, ফুলগাজী, রাধানগর।

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!