মে ১৫, ১৯৭৪ বুধবার ঃ দৈনিক বাংলা
খাদ্যাভ্যাস বদলাতে হবে : অর্থমন্ত্রী জনাব তাজউদ্দিন আহমদ জুরাইনে ফলিত পুষ্টি গবেষণা প্রকল্পের কর্মচারিদের আরাে উদ্যোগী এবং জনগণকে পুষ্টি ও প্রাপ্ত সুবিধার মাধ্যমেই স্বাস্থ্যের মৌলিক যত্ন নেবার পদ্ধতি সম্পর্কে সচেতন করার আহ্বান জানান। বাসস পরিবেশিত খবরে প্রকাশ, তিনি তাদের জনগণের মধ্যে এ ধারণা জন্মানাের চেষ্টা করতে বলেন যে, খুব কম পরিশ্রম ও কম খরচেই নিজেদের গৃহাঙ্গন থেকে তারা প্রয়ােজনীয় পুষ্টিকর খাদ্য আহরণ করতে পারবে। প্রথম যে উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে এ প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা কাজ শুরু করেছিলেন সে উদ্দীপনা নিয়ে তারা কাজ করে যেতে থাকলে দেশবাসী খুবই উপকৃত হবে। গতকাল সকালে জুরাইন ফলিত পুষ্টি প্রকল্পের কর্মীদের সাথে ঘরােয়াভাবে আলােচনাকালে তিনি বলেন, বর্তমান ঘাটতির প্রেক্ষিতে জনগণকে খাদ্যাভ্যাস বদলাতে হবে।
তিনি তাদের অধিকতর পুষ্টিকর বিকল্প খাদ্য আবিষ্কার করতে বলেন। এ লক্ষ্য অর্জন করতে হলে এখানকার কর্মীদের উল্লেখযােগ্য ভূমিকা পালন করতে হবে। এ ব্যাপারে তারা সফলতা অর্জনে সক্ষম হবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। এখন এ প্রকল্পের চারপাশের মাত্র ৫০০ পরিবার এ থেকে উপকৃত হচ্ছেন। শারীরিক দিক থেকে তাদের উল্লেখযােগ্য উন্নতি লক্ষ্য করা গেছে। ১৯৬৮ সালে এ প্রকল্প চালু করা হয়। এ প্রকল্পের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য ছিল সীমিত ক্ষমতার মধ্যে পুষ্টিকর খাদ্যের ব্যবস্থা করে জনগণের জন্য গ্রাম ও শহরাঞ্চলের যে সব জিনিস খাদ্যের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে সেগুলাে সংগ্রহ এবং সেগুলাের সঠিক মূল্যায়ন করা। এ প্রকল্পের প্রধান ডাঃ ইব্রাহীম তাকে এ প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিভাগ ঘুরিয়ে দেখান এবং তার কাছে এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করেন। এর আগে অর্থমন্ত্রী। সেগুনবাগিচাস্থ ডায়াবেটিক এসােসিয়েশনের হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।
সূত্র : তাজউদ্দীন আহমদ-ইতিহাসের পাতা থেকে – সিমিন হোসেন রিমি