জুন ৩০, ১৯৭৩ শনিবার ঃ দৈনিক পূর্বদেশ
২৮ লক্ষ বেল পাট রফতানি ঃ সংসদ রিপাের্টার। অর্থ ও পাট বিষয়ক মন্ত্রী জনাব তাজউদ্দিন আহমদ জানিয়েছেন, চলতি ১৯৭২-৭৩ সালে পাট রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ৩০ লক্ষ বেলের মধ্যে ২৮ লক্ষ বেল ইতােমধ্যেই রফতানি করা হয়েছে। এতে লক্ষ্যমাত্রা থেকে ৪ কোটি টাকার বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়েছে। মন্ত্রী। জনাব আলি আশরাফের এক প্রশ্নের জবাবে জানান যে, জুন মাসে আসাম বটম। পাটের কলিকাতায় প্রতিমণের মূল্য ছিল ৬৫ টাকা ৫০ পয়সা। সমমানের বাংলাদেশী পাটের নারায়ণগঞ্জ দর ৫২ টাকা। এই সমমানের পাটের মূল্য। বাংলাদেশ অপেক্ষা ভারতে প্রায় ১৩ টাকা ৫০ পয়সা বেশি বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। তিনি জানান যে, পাট রফতানি কর্পোরেশন, জুট মার্কেটিং কর্পোরেশন এবং পাট বিভাগের (সাবেক জুট বাের্ড) সকল অফিসার ও কর্মচারিদের মাসিক বেতন এবং সংস্থাগুলাের মাসে সংস্থাপক খরচ মােট ১৭ লক্ষ ৬ হাজার ৬৩৬ টাকা। জনাব তাজউদ্দিন আহমদ জানান যে, জুন মাসের প্রথমার্ধে চাষির প্রাপ্ত পাটের। গড়পড়তা দর ছিল প্রতিমণ ৫৫ টাকা ৯৫ পয়সা। তবে আগামী পাটনীতি ঘােষণাকালে পাটের নিম্নতম দাম সম্পর্কে ঘােষণা করা হবে। মন্ত্রী জনাব আলী আশরাফের অপর এক প্রশ্নের জবাবে জানান যে, ভারত পাট রফতানি সংস্থার কাছ থেকে ৩ লক্ষ ৪৭ হাজার বেল পাট ক্রয় করছে। পাট চুক্তির বাইরে কোন পাট ভারতে যায়নি।
সূত্র : তাজউদ্দীন আহমদ-ইতিহাসের পাতা থেকে – সিমিন হোসেন রিমি