ফেব্রুয়ারি ২৩, ১৯৭৩ শুক্রবার ঃ দৈনিক পূর্বদেশ
ব্রতচারীর কর্তব্য জীবনের সর্বস্তরে বাস্তবায়ন চাই ঃ (স্টাফ রিপাের্টার)। আকর্ষণীয় ও প্রাবণন্ত অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় শাহীন স্কুল ময়দানে তিন সপ্তাহব্যাপী ব্রতচারী প্রশিক্ষণ শিবির শেষ হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী জনাব তাজউদ্দিন আহমদ। অর্থমন্ত্রী তার ভাষণে ব্রতচারী আন্দোলনকে যুগের চাহিদার প্রেক্ষিতে সারা বাংলাদেশে সংগঠন করার আহ্বান জানিয়েছেন। ব্রতচারী প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় ভিত্তিতে শক্তিশালী করার জন্যেও তিনি আহ্বান জানান। ব্রতচারীর কার্যক্রম শুধুমাত্র স্কুল-কলেজ বা শিবিরে গণ্ডিবদ্ধ না রেখে ব্রতচারীর কর্তব্য জীবনের সর্বস্তরে বাস্তবায়নের জন্যেও তিনি। আহ্বান জানান। বাংলাদেশে ব্রতচারী আন্দোলনের সংগঠকদের প্রতি মন্ত্রী তার ভাষণে শুভেচ্ছা জানান। বাংলাদেশে আয়ােজিত এই প্রথম ব্রতচারী প্রশিক্ষণ শিবিরের শিক্ষার্থীদেরও তিনি শুভেচ্ছা জানান। মন্ত্রী বলেন যে, প্রাচীন ঐতিহ্যকে ভর করে বর্তমান পৃথিবীর প্রবাহের সঙ্গে সমন্বয় রেখে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে গড়ে তােলার ব্রত গ্রহণ করতে হবে। তিনি বলেন, যে ব্রত পালন করলে জীবন ও জীবনের মানের সার্বিক কল্যাণ হয় সে দিকে নিয়ােজিত রাখতে হবে ব্রতচারীর কার্যক্রম। মন্ত্রী বলেন যে, এই ব্রতচারী একদিন সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল। এই জন্য এর জন্মদাতা স্যার গুরু সদর দত্তের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ অচিরেই বিশ্বের মধ্যে অন্যতম উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। তিনি জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন, আসুন আমরা জাতি গঠন করে বিশ্বে শান্তি স্থাপন করি।
সূত্র : তাজউদ্দীন আহমদ-ইতিহাসের পাতা থেকে – সিমিন হোসেন রিমি