২৭ অক্টোবর ১৯৭১ঃ সাংবাদিক সম্মেলনে অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর ড. ব্রুনো ক্রেইস্কি
অস্ট্রিয়া সফরে ইন্দিরা গান্ধী সে দেশের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঞ্জ জোন্স এর সাথে বৈঠক করেন। অস্ট্রিয়া জাতিসংঘ মহাসচিবের পদের জন্য শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী বিধায় প্রেসিডেন্ট মুসলিম দেশের ভোট হারানোর জন্য গণমাধ্যমে কিছু বলেন নি। পরে ইন্দিরা গান্ধী চ্যান্সেলর ব্রুনো ক্রেইস্কির সাথে বৈঠক করেন। তারা প্রথমে বাংলাদেশ ইস্যু পরে দ্বিপাক্ষিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন। ইন্দিরা গান্ধী প্রথমে একক পরে তার সহযোগীদের নিয়ে বৈঠক করেন। পরে ইন্দিরা গান্ধী অস্ট্রিয়ান প্রেস এর সাথে সাক্ষাৎকারে বলেছেন তার দেশ যুদ্ধ চায় না। সোভিয়েত মৈত্রী চুক্তি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন এতে তেমন কিছুই নেই যাতে জোট নিরপেক্ষ নীতির বিরুদ্ধে যায়। সকালে তিনি প্রবাসী ভারতীয় দের সাথে সময় কাটান। এসময় সেখানে মিরা বেহ্ন নামে মহাত্মা গান্ধীর একজন অনুসারী উপস্থিত ছিলেন।
ইন্দিরা গান্ধী সমস্যা সমাধানের প্রাথমিক প্রস্তুতি হিসেবে শরণার্থী প্রত্যাবর্তনের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর ড. বরুনো ক্রেইস্কি এক সাংবাদিক সম্মেলনে এক ভারতীয় সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বলেন পূর্ব পাকিস্তানের সমস্যা সমাধানের একমাত্র পথ শেখ মুজিবুর রহমানকে মুক্তি দিয়ে তাকে রাজনৈতিক জীবনে প্রত্যাবর্তনের সুযোগ দিয়ে তার সাথে আলোচনায় বসা। তিনি আর বলেন এটা কোন মতে বিশ্বাস যোগ্য নয় যে বিনা কারনে এক কোটি লোক স্বেচ্ছায় ঘরবাড়ী ছেরে ভারতে আশ্রয় নিয়াছে। তিনি শরণার্থীদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের উপর জোর দেন। তিনি বলেন জাতিসংঘ মহাসচিব যদি পূর্ব পাকিস্তান সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব নিতে চান তবে তাকে অবশ্যই আলোচনা করতে হবে পাকিস্তান সরকার ও আওয়ামী লীগের সাথে ভারতের সাথে নয়।