২৬ অক্টোবর ১৯৭১ঃ যুদ্ধ পরিস্থিতি
কসবাঃ কসবা দখলের বিদ্রোহীদের কয়েকটি প্রচেষ্টা পাক বাহিনী ব্যার্থ করে দিয়েছে। ক্রমাগত ব্যার্থতায় ভারতীয় বাহিনী চরম হতাশ হয়েছে। কসবার মন্দভাগ থেকে ৭৮ জন বিদ্রোহীর লাশ উদ্ধার করেছে পাকবাহিনী। কয়েকদিনে তারা কসবা,কাইমপুর, নয়নপুর, সালদা নদীতে ৬৮০ রাউন্ড শেলিং রিকয়েলস রাইফেলের গুলী করেছে। পাক বাহিনী কাইমপুর থেকে বিপুল পরিমান অস্র আটক করেছে। সিলেটের উত্তরে রাজাকাররা দুটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করেছে। সংখ্যায় কম হয়েও রাজাকাররা ৮০ জনের বিদ্রোহী দলকে সাফল্য জনক ভাবে মোকাবেলা করে তাদের তিনজনকে হত্যা করেছে। মুক্তিবাহিনীর সদর দপ্তরের বরাত দিয়ে পিটিআই বলেছে মুক্তিযোদ্ধারা সিলেটের গোয়াইনসারি ঘাট ব্রিজ ধ্বংস করেছে। সুনামগঞ্জের কালনী নদীতে মুক্তিযোদ্ধারা রশদবাহী একটি লঞ্চ সহ দুটি লঞ্চ ডুবিয়ে দিয়েছে। কুষ্টিয়ার চাতাই বিলে রাজাকাররা বিদ্রোহীদের অনেক অস্র আটক করেছে।
অন্যান্যঃ ভারতীয় গোলন্দাজ বাহিনী বগুড়া, রংপুর, রাজশাহী, সিলেট, দিনাজপুর, ময়মনসিংহ, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম ও ফেনীর সীমান্তেও গোলাবর্ষণ করেছে। এ হামলাগুলির মধ্যে যশোরের কাকডাঙ্গা, চুটটিপুরে সবচে বড় আক্রমন হয়েছে। এ দুটি গ্রামে যথাক্রমে ৭২ ও ৪৩ রাউন্ড শেলিং হয়েছে। করেছে। মুক্তিবাহিনীর সদর দপ্তরের বরাত দিয়ে পিটিআই বলেছে মুক্তিযোদ্ধারা দিনাজপুরের পঞ্চগড়ের জগদ্দলহাট, বড়হাটটায় ময়মনসিংহ, রংপুরে ৬ জন অনিয়মিত পাক সেনা হত্যা করেছে। রংপুরের জয়মনিরহাঁট ও ভুরুঙ্গামারিতে ২১-২২ তারিখে মোট ৪০ জন পাক সেনা হত্যা করেছে।