২৬ অক্টোবর ১৯৭১ঃ বেলজিয়ামে ইন্দিরা গান্ধী
ব্রাসেলস এ এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিদেশে না আলোচনা না করে পাকিস্তানের সাথেই আলোচনা করা উচিত ছিল পাকিস্তানের এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের উত্তরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বলেছেন পূর্ব পাকিস্তান ইস্যুতে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে আলোচনা বৈঠকের কোন প্রয়োজন নেই। তিনি বলেন ভারত সব সময়েই আলোচনায় বিশ্বাসী সংঘর্ষে নয়। শরণার্থীদের দেশে ফিরে যেতে ভারত বল প্রয়গকরবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে ইন্দিরা গান্ধী বলেন এ বিষয়ে এক্ষনি কিছু বলা যাবে না। কোন সময়ে কি পরিস্থিতির উদ্ভব হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ইন্দিরা গান্ধী বলেন পূর্ব পাকিস্তানের সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের জন্য আন্তজার্তিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহবান জানালেও তারা তাতে সাড়া দেয়নি। এ সমাধান করতে হবে সে দেশের নির্বাচনে বিজয়ী দলের সাথে। ইন্দিরা গান্ধী বেলজিয়ামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হারমেলের সাথে আলোচনার সময় বলেন শেখ মুজিব জীবিত আছে কিনা তা তার দেশ নিশ্চিত নয়।
তিনি যদি জীবিত থাকেন তিনি তাদের নেতা। তিনি বেলজীয় মন্ত্রীকে বলেন পাকিস্তান প্ররোচনা না দিলে তার দেশ যুদ্ধে জড়াবে না। বৈঠকে বেলজিয়াম ভারত সোভিয়েত মৈত্রী চুক্তি সম্পর্কে কোন কিছু উত্থাপন করেনি। বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী গেসটন আইনকেন্স বলছেন পূর্ব পাকিস্তানের সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তার দেশ পাকিস্তানকে কোন সাহায্য দিবে না। তিনি বলেন বর্ণ বৈষম্য এর ব্যাপারে জাতিসংঘ যদি দক্ষিন আফ্রিকা,এঙ্গোলা, মোজাম্বিকে হস্তক্ষেপ করতে পারে তবে পূর্ব পাকিস্তানে নয় কেন? বেলজিয়াম সব সময় পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক সমাধান আশা করে। বেলজিয়াম নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য থাকা কালে তারা এসব ইস্যুতে সব সময় সোচ্চার ছিল এখনও তারা বিভিন্ন ফোরামে সোচ্চার থাকে। তিনি বলেন শরণার্থী সাহায্যে তহবিল সংগ্রহে আন্তজার্তিক সম্প্রদায়ের উপর চাপ প্রয়োগ করে যাবেন। এ সফরে দুই দেশের কোন যৌথ বিবৃতি দেয়া হয়নি। বেলজিয়াম বলেছে এটি তার দেশের স্বাভাবিক কোন কর্মকাণ্ড নয়। বেলজিয়ামে ইন্দিরা গান্ধীর ৩ দিনের সফর সমাপ্ত হয়েছে তিনি এর পর অস্ট্রিয়া সফর করবেন।