You dont have javascript enabled! Please enable it!

নভেম্বর ২১, ১৯৭০ রবিবার ঃ দৈনিক ইত্তেফাক

সমস্ত সাহায্য দ্রব্য ঢাকায় আনিতে হইবে ? স্টাফ রিপাের্টার। পূর্ব-পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব তাজউদ্দিন আহমদ বলেন, জলােচ্ছাস ও ঘূর্ণিবিধ্বস্ত উপকূলীয় অঞ্চলকে শুধু “দুর্যোগ-কবলিত” বলিয়া “বিবেচনা করিলেই চলিবে না, দুর্গত এলাকা ঘােষণা করিয়া যুদ্ধকালীন জরুরী অবস্থার ভিত্তিতে সেনাবাহিনী ও বিমানের সাহায্যে সর্বাত্মক সাহায্য তৎপরতা চালাইতে হইবে। উদ্ৰত নােয়াখালির বিভিন্ন এলাকা সফর শেষে ঢাকা ফিরিয়া গতকাল বিকেলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ভাষণ দানকালে তিনি বলেন যে, ক্ষঙ্গিস্থ বহু দুর্গম এলাকায় এখনও কোন সাহায্য না পৌছিবার ফলে অগণিত মানুষ অবর্ণনীয় দুর্দশার মধ্যে দিন কাটাইতেছে। তিনি বলেন, যে সব এলাকা দুর্গম সেখানে খাদ্য, বস্ত্র ও অন্যান্য সাহায্য দ্রব্য পজে বহন করিয়া নেওয়ার জন্য সেনাবাহিনীর জওয়ান ও আনসারদের নিয়ােগ করিতে হইবে। জনাব তাজউদ্দিন উপদ্রুত এলাকায় সরকারী সাহায্য তৎপরতার অপ্রতুলতায় দুঃখ প্রকাশ করেন এবং প্রেসিডেন্টের প্রতি তার সদর দফতর ঢাকা স্থানান্তরিত করিয়া ব্যক্তিগতভাবে সাহায্য ব্যবস্থা তদারক করার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, বিদেশ হইতে প্রেরিত সমুদয় সাহায্য দ্রব্য ঢাকায় পৌছাইতে হইবে—প্রদেশের বাইরে নয়। নির্বাচন সম্পর্কিত এক প্রশ্নের উত্তরে জনাব তাজউদ্দিন বলেন, নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত। যে কোন পরিস্থিতিতে জনগণের আস্থাভাজন প্রতিনিধিত্বশীল সরকারই সবচাইতে কার্যকরিভাবে জনগণের বিপদের মােকাবিলায় আগাইয়া আসিতে পারে। জনাব তাজউদ্দিন আহমদ বলেন, প্রয়ােজনবােধে উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ দ্বারা উপকূলীয় এলাকার সর্বত্র আশ্রয় ভবন নির্মাণ করিতে হইবে। এগুলি সাধারণভাবে হাসপাতাল ও স্কুলের কাজে এবং আপকালে আশ্রয়স্থল হিসাবে ব্যবহৃত হইতে পারিবে। প্রসঙ্গক্রমে তিনি আশ্বাস দেন যে, সাহায্য তৎপরতায় আওয়ামী লীগের কর্মীরা যত বেশি সংখ্যায় দরকার হউক সরকারী সংস্থাগুলিকে সাহায্য করিতে প্রস্তুত আছে।

সূত্র : তাজউদ্দীন আহমদ-ইতিহাসের পাতা থেকে – সিমিন হোসেন রিমি

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!