You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.10.20 | হামিদুল হক চৌধুরীর কারখানায় মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমন - সংগ্রামের নোটবুক

২০ অক্টোবর ১৯৭১ঃ হামিদুল হক চৌধুরীর কারখানায় মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমন

ঢাকাঃ ৪০ জনের মুক্তিযোদ্ধাদের একটি গ্রুপ রাত ৮ টার দিকে ঢাকা ডেমরা রোডে অবস্থিত অবজারভার মালিক ও সাবেক মন্ত্রী হামিদুল হক চৌধুরীর মালিকানাধীন এসোসিয়েটেড প্রিন্টার্স নামে একটি প্যাকেজিং কারখানায় প্রবেশ করে ৭ জন শ্রমিক কে বেধে কারখানায় পেট্রোল ছিটিয়ে দোতলায় ডিনামাইট বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে কারখানার ভবন ও মেশিনারিজ এর ব্যাপক ক্ষতি হয় এবং ১ জন নিহত হয়। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা। হামিদুল হক চৌধুরী বর্তমানে তিতাস গ্যাসের এক মামলায় সপরিবারে সুইজারল্যান্ড অবস্থান করিতেছেন। মুক্তিযোদ্ধারা আটককৃত ব্যক্তিদের ধরে নিয়ে যায় এবং দূরবর্তী স্থানে তাদের ছেড়ে দেয়। দমকল বাহিনী পরদিন সকাল ১০ টায় আগুন নিভাতে সক্ষম হয়। প্রেস কতৃপক্ষ তেজগাও থানায় মামলা করেছে। স্টেট ব্যাঙ্কের ৫তলার এক টয়লেটে বোমা বিস্ফোরণে কয়েকজন সামান্য আহত হয়েছে। বুধবার রাতে একদল দুষ্কৃতিকারী শাজাহানপুর রেলওয়ে স্কুলের ভবন আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়।

বগুড়াঃ ভারতীয় ৭৭ ব্যাটেলিয়ন এর একটি কোম্পানির সহযোগিতায় অনুপ্রবেশকারীরা হিলিতে আক্রমন চালায়। পাকিস্তান সেনাবাহিনী তাদের আক্রমন প্রতিরোধ করে। আক্রমনে ১২ জন ভারতীয় বিএসএফ সৈন্য নিহত হয়। অনুপ্রবেশকারীরা ভোর রাতে সীমান্ত অতিক্রম করে পাক বাহিনী তাদের বাধা না দিয়ে ভিতরে প্রবেশের সুযোগ দেয় এবং ভিতরে আসার পরপর তাদের উপর আক্রমন করা হয়। তারা পলায়ন কালে গুলিতে নিহত হয়। ময়মনসিংহ কুমিল্লা যশোর রংপুরে গতকালের গোলাবর্ষণে ৩৭ জন নিহত হয়। এসকল স্থান এবং সিলেটে অনুপ্রবেশকারীদের সাথে সংঘর্ষে ১০৮ জন ভারতীয় চর নিহত হয়েছে। ছাতকের পাকচান্দাল গ্রামেই ৫০ জন ভারতীয় চর নিহত হয়। কুমিল্লার আজনাপুরে ১৩ জন, রংপুরের কালিগঞ্জের ফুল মতির কাছে ৪৫ জন নিহত হয়। এসকল হামলা প্রতিরোধের সময় পাকিস্তান আর্মি প্রচুর অস্র গোলাবারুদ আটক করে।