You dont have javascript enabled! Please enable it!

২৮ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ আওয়ামী লীগ দলীয় বিদ্রোহী এমএনএ ও তথ্য মন্ত্রী মজুমদার

তথ্য মন্ত্রী ওবায়দুল্লাহ মজুমদার(ফেনী) তাহার দুই মাস পলাতক জীবনের কাহিনী প্রকাশ করেন। তিনি বলেন ভারতের শরণার্থী শিবিরে দারিদ্রতা ও রোগে শরণার্থীদের মৃত্যু ঘনাইয়া আসিতেছে। শরণার্থীদের মোহমুক্তি ঘটিয়াছে এবং তাহারা হতাশ হইয়া পড়িয়াছে। ভারত তাহাদের নিজের স্বার্থে তাহাদিগকে ব্যাবহার করিতেছে। কিছু চরম পন্থী ছাড়া বাকি সকলেই দেশে ফিরিয়া আসিতে ইচ্ছুক। ভারতের ক্ষতিকর প্রচারনা ও বিদ্বেষপূর্ণ আচরন তাদের দেশে ফিরতে বাধা দিতেছে। ভারত সবসময়েই শরণার্থীদের অতিরিক্ত সংখ্যায় প্রচার করছে। শিবিরগুলির পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর রোগে সেখানে অসংখ্য শরণার্থী মৃত্যুবরণ করিতেছে। অল্প জায়গায় ঠাসাঠাসি করিয়া তাদের রাখা হইয়াছে। খাদ্য সরবরাহ অনিয়মিত। কিছু এমএনএ এবং এমপিএ দের এক রুমে ২-৩ টি খাট দেয়া হয়েছে তবে অনেকেই স্থান না পাইয়া নিজেরা থাকার বেবস্থা করিয়া নিয়াছে। তিনি সেখানে ঢাকা কুমিল্লা নোয়াখালীর ৩০ জন এমপি এর সাথে কথা বলিয়াছেন। তাহারা সকলেই হতাশ এবং আতঙ্কগ্রস্থ। কলকাতায় অবস্থানকারীদের অবস্থাও তেমন ভাল নয়। তিনি সবসময় নিজেকে পাকিস্তানি ভাবিয়াছেন এখনও ভাবেন। পরিস্থিতির চাপেই তিনি সেখানে আশ্রয় নিয়াছিলেন। সেখানে তাহার অনেক ছাত্রদের সাথে দেখা হইয়াছে। তাহারা মনে করিয়াছিল তাদের হত্যা করা হইবে তাই তাহারা পলায়ন করিয়াছিল। ছাত্রদের জন্য সেখানে আশ্রয় নাই। তাদের বেকার থাকা যাবে না তাই তাদের জোর করে যুদ্ধের প্রশিক্ষন দেয়া হইতেছে। এসকল যোদ্ধারা প্রায় পাকিস্তানে প্রবেশ করিয়া তাদের অস্র জঙ্গল ডোবায় ফেলে দেয় এবং ভারতে ফিরিয়া জানায় তারা বেশ কিছু সফল অভিযান করিয়া আসিয়াছে।

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!