You dont have javascript enabled! Please enable it!

১৭ অক্টোবর ১৯৭১ঃ চিলমারীর যুদ্ধ

১১ নং সেক্টর কম্যান্ডার মেজর তাহের এর প্রথম যুদ্ধ। সাব সেক্টর কম্যান্ডার উইং কম্যান্ডার হামিদুল্লাহর বাহিনী এই যুদ্ধে অংশ নেয়। কাছাকাছি পাক সেনাবাহিনী অবস্থান ফুলছড়ি ঘাট ২৯ এফএফ। চিলমারীতে অবস্থান করছিল ১ কোম্পানী নিয়মিত পদাতিক, ২ কোম্পানী এপকাফ, ১ প্লাটুন পুলিশ ও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রাজাকার। এরা বিভক্ত হয়ে রেল স্টেশন, হাইস্কুল সংযুক্ত ওয়াপদা অফিস, বালাবাড়ী স্টেশন ছিল সামরিক ও আধা সামরিক বাহিনী মিশ্রিত ক্যাম্প, রাজভিটা মাদ্রাসা ও জোরগাছ স্কুল রাজাকার ক্যাম্প। পুলিশ এর সাথেও ছিল অনেক রাজাকার। মুক্তি বাহিনীর অবস্থান চালিয়া পাড়ায় (আর্টিলারি সাপোর্ট) সেক্টর সদর ক্যাম্প, গাজীর চরে আরভি স্টেশন (উইং কমাণ্ডার হামিদুল্লাহ / চিকিৎসা কেন্দ্র মেডিক্যাল ছাত্র সাজেদুল), উলিপুর চিলমারী মাঝামাঝি কাট অব পজিশন খায়রুল আলমের মুক্তিযোদ্ধা কোম্পানী (১৫ অক্টোবর অবস্থান), খানাহাট ও বালাবাড়ী স্টেশন আক্রমন চিলমারী কোম্পানী কম্যান্ডার বুয়েট ছাত্র আবুল কাশেম চাদের ৩ প্লাটুন মুক্তিযোদ্ধা (১৭ তারিখ রাত/ভোর ২ টায় অবস্থান), রেকি কর্মকর্তা পুলিশের শফিকুল্লাহ।

ইপিআর সুবেদার মান্নানের বাহিনী চিলমারী রেলস্টেশন, জোরগাছ স্কুল, ওয়াপদা, হাইস্কুল অবস্থান আক্রমন দায়িত্ব ( ১৭ অক্টোবর রাত/ভোর ৪ টায় অবস্থান। ১৭ তারিখ ভোর ৪ টায় আক্রমন শুরু হয়। আক্রমণে খানাহাট বালাবাড়ী রাজাকার ক্যাম্প গুলির সহজে পতন হয়। সকাল ৬ টায় ৭০ রাজাকার ৪৫টি রাইফেল সহ আটক করা হয়। এ টিম আটকদের নিয়ে রৌমারী প্রত্যাবর্তন করে। জোরগাছ স্কুলে একটু প্রতিরোধ হয় এখানে স্থানীয় কুখ্যাত রাজাকার ওয়ালী সহ কয়েকজন ধরা পরে। এদের একটি অংশ ধৃত রাজাকার ও অস্র সহ গাজীর চরে চলে আসে। কম্যান্ডার চাদের বাহিনী থানা আক্রমন করে সফল হন। পুলিশ ও রাজাকারদের সাথে রেখে যুদ্ধ করে চাদের ইউনিট তারা থানাহাট দখল করে সেখানে ৬৭ টি রাইফেল আটক করে। এ ইউনিট সন্ধ্যায় রৌমারী ফিরে আসে। আক্রমনের অগ্রগতির খবর পেয়ে মেজর তাহের থানা এলাকায় আসেন। মুল সেনা পজিশনে মুক্তি বাহিনীর আক্রমন বিভিন্ন কারনে সম্ভব হয়নি। তাহের এ অবস্থায় তার বাহিনী প্রত্যাহার করে নেন। সমগ্র অভিযানে ৮-৯ জন পাক সেনা নিহত হয়। মুক্তিবাহিনীর ৬ জন নিহত ও ২ জন আহত হয়।

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!