You dont have javascript enabled! Please enable it!

১৬ অক্টোবর ১৯৭১ঃ বিভিন্ন স্থানে হামলা ও খণ্ড যুদ্ধ

সুনামগঞ্জের দোয়ারা বাজারে পাক বাহিনীর আক্রমনে ক্ষতিগ্রস্ত ক্যাপ্টেন মহসিনের বাহিনীকে সাপোর্ট দিতে ক্যাপ্টেন আনোয়ার ও ছাত্র দ্বারা গঠিত ইকো কোম্পানী তাদের সাথে যোগ দেয়। এ বাহিনীর উপর আবারো দোয়ারা বাজারের পাক বাহিনী হামলা চালায়। এখানে অগ্রবর্তী মুক্তি বাহিনী হামলায় পশ্চাদপসরণ করে। ছাতকে রেখে আসা ক্যাপ্টেন আনোয়ারের আলফা কোম্পানী অবস্থান করে তাদের পিছনে ছিল ক্যাপ্টেন আকবরের ব্রাভো কোম্পানী। পাক বাহিনী দোয়ারা বাজার থেকে আক্রমন করতে করতে দুটি অবস্থানের কাছে চলে আসে। পরে সেক্টর কমান্ডার মীর শওকত তার বাহিনী প্রত্যাহারের আদেশ দেন। ১৭ তারিখ ভোরে প্রত্যাহার সম্পন্ন হয়।

৪ দিনের এ যুদ্ধে এক কোম্পানী মুক্তিবাহিনী নিহত হয়। আগরতলার সংবাদপত্র গুলো আজকের পত্রিকায় লিখেছে কুমিল্লার কসবায় তারা মেজর ওয়াজির ও লেঃ জাভেদ পারভেজ সহ ১৫৪ জন পাক সেনাকে নিহত করেছে। এ যুদ্ধে আহত হয়েছে ৩০০ পাক সেনা। মুক্তি বাহিনীর নিহত ৮ আহত ৩০। পাকবাহিনী পিছনে হটে আড়াইবাড়ী অবস্থান নিয়েছে। পাক বাহিনীর মুখপাত্র এক প্রেসনোটে জানিয়েছে দুষ্কৃতিকারীরা সন্ধা সাড়ে সাতটায় বিস্ফোরকের সাহায্যে পুবাইলের কাছে একটি ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে। এতে ৪ জন নিহত ৬ জন আহত হয়। বিস্ফোরনে ৩ টি বগী ক্ষতিগ্রস্ত ও লাইন চ্যুত হয়। চট্টগ্রামে কুমিরার কাছে অনুরূপ প্রচেষ্টার কালে দুজন নিহত হয়েছে। তারা রেল লাইনে বিস্ফোরক স্থাপন কালে রাজাকাররা তা দেখে ফেলে এবং তাদের ধাওয়া করে। তারা দ্রুত পলায়নের চেষ্টা করলে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে ফলে তারা সেখানেই মারা যায়।
ছবিঃ নভেম্বরের টেংরাটিলা যুদ্ধের।

 

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!