You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.10.14 | ছাতকে পূর্ণ যুদ্ধ - সংগ্রামের নোটবুক

১৪ অক্টোবর ১৯৭১ঃ ছাতকে পূর্ণ যুদ্ধ

সুনামগঞ্জের ছাতকে গতকালের সমাবেশের পর আজ সকালে মুক্তিবাহিনীর ৩ ইস্ট বেঙ্গল ও মুক্তিবাহিনীর ২টি কোম্পানী যৌথ ভাবে পাকবাহিনীর সাথে পূর্ণ যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। ছাতকে তখন ৩১ পাঞ্জাব/ ৩০ এফএফ এক কোম্পানী, রাজাকার এবং অন্যান্য পশ্চিম পাকিস্তানী আধা সামরিক বাহিনীর ( টচি স্কাউট) অবস্থান ছিল। যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়। আলফা ও ব্রেভো কোম্পানী নিয়ে ক্যাপ্টেন আনোয়ার এবং ক্যাপ্টেন আকবর ছাতক সিমেন্ট ফ্যাক্টরিতে আক্রমন সূচনা করেন। আক্রমনের এক পর্যায়ে পাকবাহিনী নদীর ওপারে ছাতক শহরে আশ্রয় নেয়। ক্যাপ্টেন আনোয়ার সিমেন্ট ফ্যাক্টরিতে অবস্থান নেন ক্যাপ্টেন আকবর তার পিছনেই অবস্থান নেন। অপরদিকে ছাতকের পশ্চিমে দোয়ারা বাজারে পাকিস্তানী বাহিনী শক্ত অবস্থানে ছিল।

সেখানে উপজাতীয় আধা সামরিক বাহিনী গুলো অবস্থান নিয়েছিল। ক্যাপ্টেন মহসিনের বাহিনী সেখানে ঘাটে পৌঁছে নামার সাথে সাথে পাক বাহিনীর আক্রমনের শিকার হয়। ক্যাপ্টেন মহসিনের গাড়ী বহর দূর থেকে পাক বাহিনী দেখতে পেয়েছিল কারন তারা টিলার উপর অবস্থান নিয়েছিল। এখানে সৈন্যবাহী নৌকা আক্রান্ত হয়ে ডুবে যায়। সেখানে দের শত যোদ্ধার অস্র পানিতে নিমজ্জিত হয়। ত্রিশ জন যোদ্ধার খবর ৩ দিন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। অপর দিকে লেঃ নবীর গোবিন্দপুর পৌছতে দেরী হয়ে যাওয়ায় রাস্তা খোলা থাকায় সিলেট থেকে ২ কোম্পানি ৩০ এফএফ এক কোম্পানি ৩১ পাঞ্জাব পাক সৈন্য ছাতক পৌঁছে যায় ফলে পাক সৈন্যদের শক্তি বৃদ্ধি হয়। সম্মিলত পাক বাহিনী এরপর ছাতক সিমেন্ট ফ্যাক্টরি আক্রমণ করার প্রস্তুতি নিতে থাকে। লেঃ নবী গোবিন্দগঞ্জ পৌছার পর ছাতকের পাক বাহিনীর উপর হামলা করে। শক্তি অসম হয়ে যাওয়ায় নবী পিছু হটে ভোলাগঞ্জ চলে আসেন।