You dont have javascript enabled! Please enable it! 1957.03.23 | বঙ্গবন্ধুর ভাষণসমগ্র | জাতীয় পরিষদে ভাষণ | ২১ মার্চ ১৯৫৭ | ঢাকা - সংগ্রামের নোটবুক

বঙ্গবন্ধুর ভাষণসমগ্র | জাতীয় পরিষদে ভাষণ | ২১ মার্চ ১৯৫৭ | ঢাকা

১৯৫৭ সালের ২১ মার্চ জাতীয় পরিষদে বঙ্গবন্ধুর ভাষণটি পাঠকের জন্য অডিও করে দিয়েছেন কণ্ঠযোদ্ধা Tahia Tabassum Trena.
অডিও আকারে ওয়েবসাইটে দেয়া হল। পূর্নাঙ্গ টেক্সটও যুক্ত হয়েছে। ভিডিও আকারে ইউটিউবে দেয়া হয়েছে। আপনি যেখানেই থাকুন খুব সহজেই ভাষণটি শুনতে পারেন। ধীরে ধীরে সংগ্রামের নোটবুক বঙ্গবন্ধুর প্রায় চারশত ভাষণ পাঠকের কাছে সহজভাবে পৌঁছে দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ।
জয় বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু।
অডিও শুনুন –

জাতীয় পরিষদে ভাষণ

২১ মার্চ ১৯৫৭

ঢাকা

চলতিসালেসরকারবেসরকারিপর্যায়ে৩৩টিকারখানাপ্রতিষ্ঠাও সম্প্রসারণের প্রস্তাব করিয়াছেন। নিজ শিল্পসমূহ প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে বেসরকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের নিকট হইতে টেন্ডার চাহিয়া প্রকাশ্য বিজ্ঞাপন প্রচার করা হইয়াছে।

ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের সমস্যাসমূহ এপর্যন্ত সঠিকভাবে পর্যালচনা করা হয় নাই। এবং ইতিপূর্বে এই সম্পর্কে শুধু আগ্রহও প্রদর্শন করা হয় নাই। সরকার তাহার আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী এই শিল্পগুলোর উন্নয়নের সাহায্যের জন্য কোন ব্যবস্থারই ত্রুটি করিবেন না। সরকার প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭ টি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের পরিকল্পনা করিয়াছেন। উহার মধ্যে চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের প্রতিষ্ঠার জন্য ২৯ লক্ষ টাকা এবং তেজগাঁও পূর্ব পাকিস্তান টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠার জন্য ২৩ লক্ষ টাকা ব্যয় করা হইবে। ব্যবসায় বাণিজ্য এবং  আমদানি ও রপ্তানি ব্যবসার উপর প্রাদেশিক সরকারের কোন এখতিয়ার নাই। এবং শাসনতন্ত্রে প্রদেশের হাতে এই বিষয়ে কোন ক্ষমতাও প্রদত্ত হয় নাই। বিষয়টি লইয়া প্রাদেশিক সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের সহিত আলোচনার পর কার্য পরিচালনার জন্য একটি ব্যবস্থা করা হইয়াছে। এই ব্যবস্থা অনুযায়ী কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য দফতরের অধীনে পূর্ব পাকিস্তানের জন্য একটি আমদানি রফতানির কন্ট্রোলার নিযুক্ত হইবেন। দ্বিতীয়ত, তিনটি পৃথক লাইসেন্সিং বোর্ডের মধ্যে পূর্ব পাকিস্তানের জন্য একটি প্রতিষ্ঠিত হইবে। সিলিং কমিটিতে প্রাদেশিক সরকার প্রতিনিধিত্ব করিবেন। এত ব্যতীত প্রাদেশিক সরকারের সহিত আলোচনাক্রমে  কেন্দ্রীয় বাণিজ্য দফতর লাইসেন্স প্রদানের নীতি নির্ধারন করিবেন। এমনকি কয়লা, সিমেন্ট, লোহা প্রভৃতি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বণ্টনের ভার প্রাদেশিক সরকারের উপর ন্যাস্ত হইবে।

সরকার ব্যাপক ভিত্তিতে একটি শ্রম উপদেষ্টা বোর্ড গঠন করিয়াছেন এবং একটি স্থায়ী স্বল্প ট্রাইব্যুনালও নিযুক্ত করা হইয়াছে।

Reference:

দৈনিক আজাদ, ২২ মার্চ ১৯৫৭