২৩ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ঃ বিদেশে প্রচারনায় পাকিস্তানী দুত
ভারত সরকারের প্রোপাগান্ডা মোকাবেলায় পাকিস্তান সরকার বিভিন্ন দেশে ভ্রাম্যমাণ দুত প্রেরণ করিতেছে। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর বিভিন্ন দেশ সফরের পাল্টা পদক্ষেপ হিসাবে এদের পাঠানো হইতেছে। ফ্রান্সে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত এসকে দেহলভি যাবেন আফ্রিকান দেশ সমুহে। তুরস্কে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত ইফতিখার আলি মালিক যাবেন ইউরোপীয় দেশ সমুহে। মিসরে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত আসলাম মালিক যাবেন ল্যাটিন আমেরিকান দেশ সমুহে। জাতিসংঘে নিযুক্ত সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি মোহম্মদ খান যাবেন কিছু দেশে যার নাম প্রকাশ করা হয় নাই। আজাদ কাশ্মীর এর সাবেক প্রেসিডেন্ট সরদার ইব্রাহিম খান , করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আইএইচ কোরেশী, ভারতের হায়দ্রাবাদ রাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী লায়েক আলী জাতিসংঘে প্রতিনিধিদলে থাকিয়া একই দায়িত্ব পালন করবেন। পূর্ব পাকিস্তানের ২ জন প্রখ্যাত সাংবাদিক এসজিএম বদরুদ্দিন, খোন্দকার আব্দুল হামিদ সহ পশ্চিম পাকিস্তানের একজন সাংবাদিক আজিজ বেগ একই দায়িত্ব পালন করবেন।
নোটঃ খোন্দকার আব্দুল হামিদ বিএনপি এর প্রতিষ্ঠাতা তাত্ত্বিক। তিনি বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের প্রবর্তক। ইত্তেফাক এ সাংবাদিকতা করেছেন।। জিয়া ও সাত্তারের আমলে মন্ত্রী। ৭৯ এর সাংসদ। শহীদ সাংবাদিক সিরাজুদ্দিন হত্যা মামলার আসামী পরে আপোষে অব্যাহতি। স্বাধীনতা বিরোধীদের পুনর্বাসনের জনক। ৭৭ সালে একুশে পদক পান।