শরণার্থীদের নিয়ে সাব্রুমে পি.ই.ওর দুর্নীতি
সাতচান্দ ব্লকের অধীনে বিভিন্ন শিবিরে প্রায় কুড়ি হাজার শরণার্থী বাস করিতেছে। তাহারা কী অবস্থায় আছে সে দিকে সরকারের নজর আছে বলে মনে হয় না। ঝড়-বৃষ্টিতে, রােদে, নারী এবং অসুস্থ লােকেরা খােলা আকাশের নিচে যে অবর্ণনীয় দুর্দশার মধ্যে বাস করছে তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস হবে না। জানা যায় সরকার শরণার্থীদের জন্য অস্থায়ী শিবিরের জন্য পাঁচ হাজার টাকা প্রজেক্ট অফিসার শ্রীবীরকবিদের হাতে দিয়েছে। উক্ত টাকা দিয়ে এ পর্যন্ত শ্রী দে কী করেছেন, এ ব্যাপারে তদন্ত হওয়া প্রয়ােজন। তদুপরি রেশন ঠিকমতাে শরণার্থীদের মধ্যে বিলি করা হচ্ছে না বলে জনসাধারণ এবং শরণার্থীদের মধ্যে বিক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বিশেষভাবে উল্লেখ তইকুমবা ক্যাম্পের কথা। এ ক্যাম্পে যারা আছে তাদের (সবাইকে নয়) শুধু ছন দেয়া হচ্ছে কুড়েঘর বানাবার জন্য। কিন্ত বাশ দেওয়া হচ্ছে না। অথচ বাশ ও ছন দেবার জন্য সরকার ৫ হাজার ৬ শত টাকা মঞ্জুর করেছে। তাইকুমবা ক্যাম্পে শ্রী দে ওনার একজন পেটোয়া কর্মচারীকে ক্যাম্প অফিসার হিসেবে বসিয়েছেন। উক্ত পেটোয়া কর্মচারিটি শরণার্থীদের ঠিকমতাে রেশন দিচ্ছে না। ৪০০ গ্রামের জায়গায় ২০০ গ্রাম দিচ্ছে। এ ব্যাপারে বিলির রেজিস্ট্রার এবং উক্ত ক্যাম্পের শরণার্থীদের জিজ্ঞাসা করলেই প্রকৃত তথ্য পাওয়া যাবে। গত ১৭ মে রাত ৯টায় সময় ১ বস্তা চাউল শ্রী দে তইকুমবা থেকে টি.আর.এ ২১৫ গাড়িতে করে নিজের বাড়িতে নিয়েছেন। সরকার এ ব্যাপারে তদন্ত করে বিহিত ব্যবস্থা নেবেন কি? প্রসঙ্গক্রমে আরও উল্লেখ করা যেতে পারে যে, শ্রী দে শুধুমাত্র তইকুমবা ক্যাম্পে রােজ রাতের অন্ধকারে পরিদর্শনে যান (মাঝে মাঝে সস্ত্রীক)।
সূত্র: দেশের ডাক
০৬.০৪.১৯১৭